বন্দরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে (১৮) বছরের এক যুবতী হোসিয়ারী নারী শ্রমিককে ধর্ষনের ঘটনায় লম্পট হোশিয়ারী মালিক আলমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা হোসিয়ারী কর্মীর মামা আফজাল মিয়া গতকাল শুক্রবার সকালে বাদী হয়ে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৪(৯)২১। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ওই দিন দুপুরে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ধর্ষক আলম (৩৫) বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার আশ্রাফ উদ্দিন মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। ধর্ষন মামলার বাদী গনমাধ্যমকে জানিয়েছে, আমার ভাগ্নী বন্দর থানার ১৯নং ওয়ার্ডস্থ মদনগঞ্জ শান্তিনগর এলাকায় আমার নিজ বাড়িতে থেকে আমার ভাগ্নী (১৮) বছরের যুবতী হোশিয়ারী কর্মী বন্দর কলাবাগ এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে আলম মিয়ার হোশিয়ারীতে কাজ করে আসছে। এ সুবাদে লম্পট আলম মিয়া হোশিয়ারী কর্মীকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৫ আগস্ট বেলা ১১টায় লম্পট হোসিয়ারি মালিক লম্পট আলম মিয়া ওই হোসিয়ারী কর্মীকে হোসিয়ারি কারখানায় ডেকে আনে। ওই সময় লম্পট হোসিয়ারী মালিক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার ভাগ্নী ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ভাবে ধর্ষন করে। পরে গত ২০ আগষ্ট আমার ভাগ্নী হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পরলে আমার স্ত্রী জানতে চাইলে ওই সময় আমার ভাগ্নী জানায় সে ৬ মাসের অন্তসত্বা। এ ঘটনায় স্থানীয় ভাবে বিচার চেয়ে না পেয়ে অবশেষে শুক্রবার সকালে এ ব্যাপারে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করি। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা গনমাধ্যমকে জানিয়েছে, হোসিয়ারী শ্রমিক ধর্ষনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামরার তদন্তকারি কর্মকর্তা ভিকটিমকে ডাক্তরি পরিক্ষার পর ২২ ধারায় আদালতে প্রেরন করে। সে সাথে ধর্ষক হোসিয়ারী মালিক ধষৃক আলমকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়েরের পর থেকে লম্পট ধর্ষক গা ডাকা দিয়েছে বলে অপর একটি সূত্রে জানা গেছে।