বিজ্ঞ আদালতের চলমান মামলাকে উপেক্ষা করে প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে বন্দরে নিরীহ দিনমজুর মোহাম্মদ আলী সম্পত্তী জোর পূর্বক ভাবে দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠছে ভূমিদস্যু আজিজুল হক ও তার ছেলে জাফর গং এর বিরুদ্ধে। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরর্পদি এলাকায় এ জায়গা দখলের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা ও মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করে। বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে নিরীহ মানুষের সম্পত্তী দখলের ঘটনায় উক্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভূমি মালিকের অভিযোগ সাবেক সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে ছাত্র সমাজের নামধারী বহিরাগত সন্ত্রাসী রবিউলের নেতেৃত্বে কমপক্ষে ৩০/৪০টি মটর সাইকেল নরর্পদি এলাকা এসে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে। পরে উল্লেখিত ভূমিদস্যুরা বিজ্ঞ আদালতের চলমান মামলাকে উপেক্ষা করে আমার জায়গায় জোর পূর্বক ভাবে বাউন্ডারি দেয়াল ও ঘর নির্মানের পাঁয়তারা করে। লোক মারফতে জানতে পেরে নিরীহ মোহাম্মদ আলী দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে উল্লেীখত ভূমিদস্যুদের বাধা দিলে ভূমিদস্যুরা ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে জায়গা দখলের পাঁয়তারা করে।
এ ব্যাপারে উল্লেখিত সম্পত্তী পাওয়ার সূত্রে মালিক মোহাম্মদ আলী জানান, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কুড়িয়াভিটা এলাকার নাছির উদ্দিনের স্ত্রী রুমা বেগমের ভোগ দখলি জায়গা আমি পাওয়ার সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ভোগ দখলে আছি। উক্ত সম্পদ নিয়ে বন্দর উপজেলার বালিয়াগাও এলাকার মৃত সিড়ু মুন্সি ছেলে ভূমিদস্যু আজিজুল হক ও তার ৩ ছেলে জাফর, মুনসুর আলী ও আলী আহাম্মদ এর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলছে। এ বিরোধের জের ধরে শনিবার সকাল ১০টায় ভূমিদৎসু আজিজুল হক ও তার উল্লেখিত তিন ভূমিদৎসু ছেলেসহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ও ছাত্র সমাজের নামধারী নেতা ভূমিদস্যু রবিউলের নেতৃত্বে প্রায় ৩০/৪০টি মটর সাইকেল যোগে কমপক্ষে ৫০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে উল্লেীখত জায়গা এসে আতংক সৃষ্টি করে। সে সাথে উক্ত সন্ত্রাসীরা জোর পূর্বক ভাবে মোহাম্মদ আরী মিয়ার পাওয়াকৃত সম্পত্তী উপরে বাউন্ডারী দেয়াল ও ঘর নির্মানের পাঁয়তারা করে। এ ঘটনায় উল্লেখিত জমির পাওয়ার সূত্রে মালিক বিষয়টি বন্দর থানা পুলিশকে অবগত করলে খবর পেয়ে বন্দর থানা ও মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে অবৈধ কাজ বন্ধ করে দেয়। এ বিষয় নিয়ে আজিজুল হকের সাথে কথা বলতে চাইলে আজিজুল হক গনমাধমকর্মীদের সাথে কথা বলবে না বলে জানান।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, আমি সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। যেহেতু এই জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে সে ক্ষেত্রে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করি।