বৈরি আবহাওয়া ও ৪ দিনের টানা ভারি বর্ষনের কারনে বন্দরবাসীর জীবন যাত্রায় মারাত্নকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, এমন কথা জানিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সাধারণ মানুষ। তারা আরো জানিয়েছে, ৪ দিনের অতিরুক্ত বৃষ্টির কারনে বন্দর উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে নিচু এলাকার রাস্তাঘাট ও ঘর বাড়ী পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক স্থানে আবারও নতুন করে বাঁশের সাঁকু বাধঁতে শুরু করে দিয়েছে উক্ত এলাকার জনসাধারণ।
এ ব্যাপারে মুছাপুর এলাকার সমাজ সেবক ইব্রাহিম মিয়া জানিয়েছে, অতিরিক্ত বৃষ্টি কারণে মুছাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাকসরাইল, তাজপুর ও চিড়াইপাড়া এলাকার প্রায় অর্ধ শতাধিক বাড়ি ঘর পানিতে তলিয়ে গিয়ে মারাত্মক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখিত এলাকার পাখি, শহীদুল্লাহ, কেরামত, স্বপন ও কন্ট্রাকটার রুহুল আমিনের বাড়ি পানিতে থৈ থৈ করছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী আরো জানিয়েছে, বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই ইউনিয়নের অধিকাংশ ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারন করেছে। অপরিকল্পিত ভাবে ফসলি জমি ও ছোট বড় পুকুর ভরাট হওয়ার কারনে ৬নং ওয়ার্ডের উল্লেখিত এলাকা গুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ ছাড়াও ভারি বর্ষনের কারণে বন্দর উপজেলার শুভকরদী, ঘারমোড়া ও চরঘারমোড়াসহ কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার প্রধান রাস্তা ঘাটে প্রচন্ড জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারন করেছে। উল্লেখিত এলাকার অনেক মানুষ বর্তমানে পানিবন্ধী জীবন যাপন করছে। এ ছাড়াও এবারের বর্ষায় ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার রাস্তা ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।