শাহারুখ আহমেদ:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্কুল নিরাপত্তা চেয়ে প্রিন্সিপালের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যুবককে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৩ জুলাই সোনারগাঁ জি.আর.ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপালের বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করে ওই স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমি আক্তার। পরবর্তীতে সেই আবেদনের পরদিন তদন্ত করেন মো. সুলতান মিয়া। সুলতান মিয়ার তদন্তে ওই ছাত্রীর অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। অভিযোগের তদন্তে এ অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্তদের পক্ষে একটি প্রত্যয়ন দিয়েছেন প্রিন্সিপাল মো. সুলতান মিয়া।
জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৫ জুন রাতে গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ তালুকদারের ছেলে মিঠু তালুকদারকে একই এলাকার আয়ুব খাঁনের ছেলে সোহেল, জুয়েল ও আয়ুব খাঁন অতর্কিত হামলা করে আহত করে। এ ঘটনায় আব্দুল মজিদ তালুকদার বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আয়ুব খাঁন ও তার দুই ছেলে গ্রেপ্তার আতংকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। এ বিষয়টি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য আয়ুব খাঁনের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে সুমি আক্তার মজিদ তালুকদার গংদের বিরুদ্ধে ইভটিজিং ও ক্ষতির হুমকি দিয়েছে এমন অভিযোগ তুলে নিরাপত্তা আবেদন করে প্রিন্সিপালের কাছে। সেখানে স্বাক্ষী হিসেবে তারই বান্ধবী রাজটিকার নাম উল্লেখ করে। পরবর্তীতে প্রিন্সিপাল মো. সুলতান মিয়া তদন্তে নামেন। এ বিষয়টি রাজটিকার কাছে জানতে চাইলে রাজটিকা এমন অভিযোগের বিষয়ে কোন ঘটনা ঘটে নি। তবে একই স্কুলের দুজন ছাত্র সুমি স্কুলে নিয়মিত আসে কিনা এমন জানতে চেয়েছে। তবে কেউ তাকে তার মাধ্যমে হুমকি দেয়নি বলেছে রাজটিকা।
সোনারগাঁ জি.আর.ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মো. সুলতান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সুমি আক্তারের অভিযোগ তদন্তে কোন প্রকার সত্যতা পাওয়া যায়নি। সুমির বাবার আয়ুব খাঁনের সাথে মজিদ তালুকদারের মামলা মোকদ্দমা চলছে। সুমির আবেদনে উল্লেখ করা ঘটনার সতত্যা পাওয়া যায়নি।