নিজস্ব প্রতিবেদক
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ ) দুপুর ২টার দিকে শম্ভপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর চেলাচর এলাকায় অবস্থিত মোহাম্মদীয়া আল -সালাফিয়া মাদ্রাসায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মারধরে ৩জন আহত হলেও গুতর আহত হন শিক্ষক মোঃ কাউসার মিয়া।
জানা যায়,ওই এলাকায় দুইটি মাদ্রাসা পাশাপাশি হওয়ায় এদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ ছয় মাস আগে মোহাম্মাদিয়া আল -সালাফিয়া নামক একটি মাদ্রাসা গঠন করা হয় এবং ছয় মাস পরে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির বিষয় নিয়ে দুই মাদ্রাসার মধ্যে বাক বিতাণ্ড সৃষ্টি হলে এলাকার মাতব্বর আব্দুল হাই ও আব্দুল আউয়াল গং এই মাদ্রাসা টি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে কয়েকদিন মাদ্রাসাটি বন্ধ থাকে এ নিয়ে সোনারগাঁ থানায় পাল্টাপাল্টি দুই পক্ষের অভিযোগ দেওয়া হয়।পরে আবার দুই মাস যাবত ওই মোহাম্মাদিয়া আল -সালাফিয়া মাদ্রাসাটি স্বাভাবিকভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া চলতেছিল।
এখন রমজান মাস,পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে মোহাম্মদীয়া আল-সালাফিয়া মাদ্রাসাটির পক্ষ থেকে একটি ইফতারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে মোঃ আব্দুল হাই ও আব্দুল আউয়াল গং এর লোকজন ক্ষেপে উঠেন এবং গতকাল রাত মোহাম্মাদিয়া আল-সালাফিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল নূরে আলম কে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। অধ্যক্ষ নূরে আলম ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে কয়েক জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭/৮জন আসামী করা হয়। এ সময় অভিযোগ কে কেন্দ্র করে আব্দুল হাই ও আব্দুল আউয়ালের লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা লোহার রড়,প্লাষ্টিকের পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র দিয়ে তিন জনকে পিটিয়ে আহত করে। হামলায় আহত ৩ জনের মধ্যে শিক্ষক কাউসার মিয়ার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায়, কাউসার মিয়াকে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।