শিশির চৌধুরী :
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকাল ৩টার দিকে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় কারওয়ান বাজার, টিসিবি ভবন-৮ম তলায় পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে হোটেল-রেঁস্তোরা ব্যবসায়ী ও চকবাজার ইফতার সামগ্রী বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীগণের অংশগ্রহণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকগণ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, বিভিন্ন হোটেল-রেঁস্তোরা সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ, চকবাজারের বিভিন্ন ইফতারসামগ্রী বিক্রেতা এবং অন্যান্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
এবং মতবিনিময় সভাটি অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজে লাইভ সম্প্রচার করা হয়।
অধিদপ্তরের পরিচালক বক্তব্যে বলেন আসন্ন রমজানে ইফতার সামগ্রী তৈরির সময় পোড়া তেল না ব্যবহার, খাবার তৈরীতে বিষাক্ত নন-ফুড গ্রেড কালার ও ক্যামিকেল ব্যবহার না করার জ্য আহবান জানান।
সভায় আরও বলা হয় খাবার খোলা অবস্থায় বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করা, বিক্রয়কারী ও পরিবেশনকারীদের হ্যান্ড গ্লোভস ও ক্যাপ না থাকা, খাবার পরিবেশনের কাজে খবরের কাগজ ব্যবহার করা, খাবার তৈরীতে নন-ফুড গ্রেড কালার ব্যবহার করা, পোড়া তেল ব্যবহার করা, বাসি খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করা, জিলাপীসহ ইফতার সামগ্রীতে হাইড্রোজসহ নানা ধরণের ক্যামিকেল ব্যবহার করা, খাবার/পানীয় পরিবেশনের ক্ষেত্রে নন-ফুডগ্রেড প্লাস্টিকের পাত্র/সামগ্রী ব্যবহা্র, রান্না করার জায়গায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ডাস্টবিন ও খাবার তৈরীর উপাদান/রান্না করা খাবার পাশাপাশি রাখা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতির মহাসচিব আলোচনায় বিভিন্ন রেস্তোঁরার মালিক ও কর্মচারিদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদান ও সচেতন করার জন্য অনুরোধ জানান।
সভায় এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক চকবাজারে ফুটপাথের ও ইফতারিসামগ্রী বিক্রির দোকানে অভিযান পরিচালনা করে চকবাজারের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য অনুরোধ জানান।
আলোচনায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির বিধান করা এবং ঢালাওভাবে সকল ব্যবসায়ীদের দোষারোপ না করার অনুরোধ জানান।
সভায় মহাপরিচালক বলেন আল্লাহর রাসূল (সাঃ) নিজে ব্যাবসা করতেন এবং এটি এক ধরণের সেবাও বটে। সংযমের মাস রমজানে সকল কে সহনশীল হতে হবে।
আসন্ন রমজানে রোজাদার যে খাবার দিয়ে ইফতার করবে তা যেন স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তৈরি, পরিবেশন ও বিক্রি করা হয় এবং ইফতারের বাজার যেন ভোক্তাদের অনুকূলে থাকে সে লক্ষ্যে সকলে সমন্বিতভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।