নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন চন্দ্র দে- এর বিরুদ্ধে এক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, উপজেলার ঠাকুরকান্দি গ্রামের মৃত হাজ্বী নায়েব আলীর ছেলে মোঃ আবুল কাশেম (ইটালি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর তার বিরুদ্ধে গত (৩০ মে,২০২৩) মঙ্গলবার এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি বলেন, আমার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার কথা শুনে আমি গত (২৫ মে ) বৃহস্পতিবার আমার নিজ বাড়ি ঠাকুরকান্দি হতে বিকাল ৩:৫০টার দিকে সিএনজি করে তুলাতুলী কাচারীকান্দি গ্রামে পৌঁছাই। তখন বিকাল সোয়া ৪ টা। কিন্তু গ্রামের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্যার আমাকে ডাকেন। আমি তখন গাড়ি থেকে নেমে এসে স্যারের সামনে যাই এবং সম্মানের সাথে কথা বলি। আমি বললাম, স্যার আমাকে কেন ডাকলেন? তিনি বললেন, আপনি কোথায় যাবেন? আমি বললাম, অসুস্থ রোগী দেখতে যাবো। স্যার বললেন, যেতে পারবেন না। তখন আমি বললাম, যেতে না পারলে বাসায় চলে যাই। তখন স্যার বললেন, আপনি কোথাও যেতে পারবেন না। আপনি ৩ হাজার টাকা দিয়ে যান। আমি বললাম, কিসের টাকা? তিনি বললেন, জরিমানার টাকা। তখন আমি আইনকে শ্রদ্ধা করে ৩ হাজার টাকা দিয়ে দেই। কিন্তু আমাকে রিসিট প্রদান করা হয় পাঁচশত টাকার। যাহার বাংলাদেশ ফরম নং ১২১, সিলিপ নং ৯১৮৭২০, যাহাতে স্বাক্ষর করেন সহকারী কমিশনার (ভূম) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন চন্দ্র দে। আমি তখন বললাম, দিলাম পাঁচ হাজার টাকা আর রিসিট কেন পাঁচশত টাকার? প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ৬ মাসের জেল দেওয়ার হুমকি দেন এবং আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। আমি আর উপায় না পেয়ে উল্লেখ্য স্থান ত্যাগ করি।
এব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন চন্দ্র দে বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ঐদিন চন্দনপুর ইউপি উপ-নির্বাচন হয়েছিলো। তাই আমি সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী জরিমানা করেছি। তবে আমার নামে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।