1. meghlatv24@gmail.com : bbcpresss :
  2. jahirulislam.siraj@gmail.com : Jahirul Siraj : Jahirul Siraj
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ফ্ল্যাটে গ্যাসের চুলা ব্যবহারে হতে পারে হাঁপানি: গবেষণা বন্দরে দোয়াত কলম প্রতীকে গণসংযোগ করেন কৃষক লীগ নেতা হাজী মাঈনউদ্দিন বন্দরে আওয়ামী লীগ নেতার মা আর নেই রূপগঞ্জে চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেওয়ায় মানবাধিকার কর্মীর বাড়িতে হামলা ভাংচুর লুটপাট বন্দরে বিয়ে বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ আহত-৪ গ্রেপ্তার-১ রূপগঞ্জের জাঙ্গীর-ভিংরাবো সড়কের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন রোববার থেকে সারা দেশের সব স্কুল-কলেজ খোলা বন্দর উপজেলা নির্বাচনের আর মাত্র ৫ দিন বাকি রূপগঞ্জে প্রার্থীতার বৈধতা হরিয়েছেন সেলিম প্রধান, পাচ্ছেন না প্রতীক বরাদ্দ তীব্র দাবদাহে রূপগঞ্জে বিশুদ্ধ শীতল পানি স্যালাইন বিতরণের উদ্বোধন

মরা পশু পাখির হাড্ডি দিয়ে মাছ,হাস-মুরগির ভেজাল খাবার তৈরীর‘‘ কারখানার সন্ধান

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
  • সময়ঃ শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪

ক্রাইম রিপোর্টার (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রাম নগরীরর বন্দর থানাধীন ৩৭নং ওয়ার্ড আনন্দ বাজার, সাগর পাড় রোড এর বাম পার্শে গোল্ডেন টাচের সামনে (১৩ ফেব্রুয়ারী) মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে হাড্ডি কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। উক্ত হাড্ডি কারখানাটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন মোঃ লিয়াকত হোসেন ও তার পুত্র মোঃ রকি এবং রকি শ্যালক রেজাউল করিম। সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে জানা যায় যে, দায়িত্বে থাকা লিয়াকত হোসেন, রকি, রেজাউল করিম পরিচালনায় হাজার হাজার টন গরু, মহিষ ও ছাগলের পঁচা চামড়া এবং গরু মহিষের শিং বিভিন্ন এলাকা থেকে আমদানি করে কারখানায় মাছ, হাস-মুরগির ভেজাল খাবার উৎপাদন করে।

এ বিষয়ে ভেজাল কারখানার ম্যানেজার মোঃ মাকসুদ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পঁচা চামড়া, গরু মহিষের শিং সংগ্রহ করে এখানে মাছও হাঁস, মুরগির খাবার তৈরী করে থাকি। সরকারিভাবে কোন বৈধ অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৈধ কাগজপত্র আছে, কিন্তু দেখাতে পারেনি। পরিবেশ দূষণের কারণে শহরাঞ্চল যেন আজ মানুষের মৃত্যুকুপ গত কয়েক বছর ধরে পরিবেশ দূষণের কারণে শহরাঞ্চলের মানুষের মৃত্যুর হার এমনভাবে
বাড়ছে যেন তা মৃত্যুকুপের রূপ পরিগ্রহণ করছে। পরিবেশ দূষণের কারণে প্রতিনিয়ত অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছে মানুষে।

মূলত, বাংলাদেশে বায়ুদূষণ, খাদ্যদূষণ এবং পানিদূষণ, প্রধানত এই তিনটি কারণে মানুষের মৃত্যুহার বেশি। মৃত্যুহার কমাতে পরিবেশ দূষণ রোধে সরকারি আইন পাস হলেও এক্ষেত্রে সরকারের তেমন কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা।

তাদের অভিযোগ, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ তৎপর নয়। দূষণ পরিমাপে যেসব যন্ত্র বব্যহার করা হয় তাও আধুনিক নয়। সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেই বললেই চলে। সম্প্রতি এক জরিপ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলছে, শুধু ঢাকাতেই গত এক বছরে ১৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং সারাদেশের শহরাঞ্চলে মারা গেছে ৮০ হাজার। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের একটি জরিপের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, পরিবেশ দূষণের কারণে দেশের মানুষ যে ক্ষতির মুখে
আছে তার সামান্য অংশই বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বাস্তবে ক্ষতির পরিমাণ এর চেয়ে অনেক অনেক বেশি। ঢাকা, চট্রগ্রাম, পাবনা ও কক্সবাজার শহরে ওপর জরিপ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে সারাবিশ্বে পরিবেশ দূষণগত কারণে মারা গেছে গড়ে ১৬ শতাংশ মানুষ। আর বাংলাদেশে ২৮ শতাংশ। এই সময় দেশের শহরাঞ্চলে পঙ্গুত্ব বরণসহ নানা ক্ষতির শিকার হয়েছেন ২৬
লাখ ২৭ হাজার ৯২৬ জন। শুধু ঢাকা-শহরে ক্ষতির শিকার হয়েছেন ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৭৮১ জন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘পরিবেশ দূষণের কারণে ২০১৮ সালে শুধু শহরাঞ্চলেই মারা গেছেন ৮০ হাজার ২৯৪ জন মানুষ। এর মধ্যে বায়ু দূষণজনিত কারণে মারা যান প্রায় ৪৬ হাজার এবং পানি,অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য বিধিসংক্রান্ত কারণে মারা গেছে প্রায় ৩৪ হাজার মানুষ। পানি,স্যানিটেশন এবং অস্বাস্থ্যগত প্রত্যক্ষ প্রভাবে মারা গেছেন ৪ হাজার ৮০০ জন, পরোক্ষ প্রভাবে ৯৬৬ জন, পানিতে আর্সেনিকের কারণে প্রায় ১০ হাজার এবং পেশাগত পরিবেশ দূষণে মারা গেছেন প্রায় ১৯ হাজার মানুষ।

প্রিভেনটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী এ সম্পর্কে বলেন, ‘বাংলাদেশে বায়ুদূষণ, খাদ্যদূষণ এবং পানিদূষণ, প্রধানত এই তিনটি কারণে মানুষের মৃত্যুহার বেশি। অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার, অতিরিক্ত সার ব্যবহার, খাদ্যকে সংরক্ষণের জন্য ফরমালিন ও কারবাইড্রেড ব্যবহারের কারণে খাদ্য- দূষণ হচ্ছে। এই খাবার খেয়ে মানুষ বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। আবার এই খাবারগুলো খাওয়ার কারণে কিডনি, লিভার, পাকস্থলি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে কিডনি ফেইলিওর, গ্যাস্ট্রিক, আলসার আক্রান্ত হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদে মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।
পরিবেশ দূষণের কারণে এত মৃত্যুকে এক ধরনের পরিবেশ দূষণের ফল বলে মনে করেন না পরিবেশ, পানি ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপন ড. আইনুন নিশাত। তিনি বলেন, ‘এটা সার্বিকভাবে পরিবেশ দূষণ সমন্বিত নেতিবাচক ফল। বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, খাদ্যদূষণ, শব্দদূষণের সমন্বিত প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যের ওপর।জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে। ফলে খাবার
পানির সঙ্কট তৈরি হয়েছে। তারা রেশনিং করে পানি খায়। এর কারণে তাদের কিডনির ওপর প্রভাব পড়বে, রক্তচাপ বাড়বে। ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন,বায়ুদূষণের জন্য অ্যাজমা, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, অ্যালার্জিসহ নানা রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে । পানিদূষণের কারণে টাইফয়েড, আমাশয়, কলেরা প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শব্দদূষণের কারণে মানসিক চাপ বেড়ে যাচ্ছে।হৃদরোগের আক্রান্তর ঝুঁকিও বেড়ে গেছে। শব্দদূষণের কারণে উদ্বেগ বেড়ে যায়, যা হার্টের রোগ বাড়ায়, রক্ত চাপ
বাড়ায়, অনিদ্রা রোগও বাড়ে। এসবই মৃত্যুর কারণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও
পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদ আখতার হোসেন বলেন, পরিবেশ দূষণের একটি বড় কারণ হচ্ছে বায়ুদূষণ। বায়ুদূষণের ঘটনা দুভাবে ঘটে একটি হলো ক্ষুদ্র কণিকার কারণে। আরেকটি হলো নানা কেমিক্যাল ও দূষিত পদার্থের কারণে। আমরা এসব বিষয় নিয়ে গবেষণা করছি। আর নানা রোগের সঙ্গে এর কী কার্যকারণ সম্পর্ক আছে তাও আমরা দেখার চেষ্টা করছি। তিনি আরো বলেন,
দূষণরোধে সরকারের কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ তেমন দক্ষ ও তৎপর নয়। দূষণ পরিমাপে যেসব যন্ত্র বব্যহার করা হয় তাও আধুনিক নয়। সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেই বললেই চলে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ৩৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়টি আমার জানা নেই আপনারা বিষয়টি প্রত্রিকায় নিউজ করে দেন।

এ বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের মজুমদার এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে এ বিষয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান বিষয়টি আমার জানা নাই। ফ্যাক্টরীটি কোথায় বিস্তারিত তথ্য আমার
হোয়াটস্অ্যাপে দিয়ে রাখেন,আমরা ব্যবস্হা নেবো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এইরকম আরো খবর
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি

শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি

ফতেপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে

পদের নাম: শিক্ষক

বর্ণনা:ফতেপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে ইংলিশ এবং গণিত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা
পদের নাম শিক্ষাগত যোগ্যতা
ইংলিশ শিক্ষক ইংলিশে অনার্স মাস্টার্স হতে হবে।
গণিত শিক্ষক গণিতে অনার্স মাস্টার্স হতে হবে।

ঠিকানা: উলিপুরা সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ

মোবাইল নাম্বার: 01988571098

© ২০২১ | বিবিসি প্রেস © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | bbcpress.com