আসাদুজ্জামান চৌধুরী:
পরিবেশ বান্ধব পাট বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য আঁশ।
পাটকে নানামুখী উপায়ে আরো বেশি ব্যবহারযোগ্য করার জন্য নিত্যনতুন গবেষণা করে চলেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট।
প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ড. মো: আব্দুল আউয়ালের সরাসরি তত্বাবধানে প্রশস্ত হচ্ছে সম্ভাবনাময় এই শিল্পের দ্বার।
তার প্রানবন্ত প্রচেষ্টায় পাটশিল্পের অগ্রগতির পথ আরো সুদীর্ঘ হয়েছে।
পাট ও বিজেআরআই সম্পর্কে তিনি বলেন,
পাট ও বিজেআরআই শব্দ দুটি যেন একটি মুদ্রার দুটি পিঠ।
একদিকে পাট ও পাটজাত পন্য যেমন অর্থনীতিতে ভুমিকা রেখে যাচ্ছে তেমনি পাটজাত পন্যের ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনকে করছে সহজ।
দেশীয় অর্থনীতিতে রয়েছে পাটের ব্যপক অবদান।
বাজারে পাটজাত পণ্যের বিক্রয় ও ব্যবহার সাড়া ফেলছে বলে তিনি জানান।
বস্তা তৈরির ক্ষেত্রে পাট এখনও গুরুত্বপূর্ণ।
পাটের আঁশের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অন্য অনেক আঁশের সঙ্গে মিশ্রণ করে ব্যবহার করা যায়।
প্রচলিত বয়ন শিল্পে পাটের উল্লেখযোগ্য ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে সুতা, পাকানো সুতা, বস্তা, চট, কার্পেট ব্যাকিং পর্দার কাপড়, কুশন কভার, কার্পেট, ইত্যাদি।
এ সকল কিছুই পাট থেকে তৈরি।
গরম কাপড় তৈরীর জন্য উলের সঙ্গে পাট মিশ্রণ করা হয়।
কৃষি পণ্য এবং অন্যান্য দ্রব্যাদি বস্তাবন্দি ও প্যাকিং করার জন্য ব্যাপকভাবে পাট ব্যবহার করা হয়।
পাট খড়ি পাট চাষের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ।
পাট আঁশের দ্বিগুণ পরিমাণ খড়ি উৎপাদিত হয়।
ঘরের বেড়া, ছাউনী এবং জ্বালানী হিসাবে খড়ির ব্যবহার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। পাটের আঁশের বহুমুখী ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে প্রসাধনী, ওষুধ, রং ইত্যাদি।
পাট খড়ি জ্বালানী, ঘরের বেড়া, ঘরের চালের ছাউনীতে ব্যবহার হয়।
বাঁশ এবং কাঠের বিকল্প হিসাবে পার্টিকেল বোর্ড, কাগজের মন্ড ও কাগজ তৈরিতেও পাট খড়ি ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের অনেক এলাকায় পাটের কচি পাতাকে শাক হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়।