বন্দর ফাঁড়ি পুলিশ এখন সাধারন জনগনের কাছে শাঁখের করাতে পরিণত হয়েছে, এমন কথা জানিয়েছে স্থানীয়রা। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে গণমাধ্যমকে আরো জানিয়েছে, বন্দর ফাঁড়িতে সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী জনসাধারণের পকেট আইতেও কাটছে যাইতেও কাটছে সংশ্লিষ্ট ফাঁড়ি কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাগণ। এ ছাড়াও বন্দর ফাঁড়ি পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বন্দর ফাঁড়ি পুলিশ গত শনিবার (১২ আগস্ট) গভীর রাতে বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের বন্দর রুপালী আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে বন্দর থানার তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ীসহ ৬ যুবককে আটক করে।
আটককৃতরা হলো বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা ত্রিবেনীপুল এলাকার মৃত তোফাজ্জল সিকদারের ছেলে কুখ্যাত মাদক সম্রাট বিল্পব সিকদার (৩৯), সোনাকান্দা এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে রাসেল (২২), সোনাকান্দা কবরস্থানরোড এল্কাার মজিবুর রহমানের ছেলে আবু সাঈদ (২০), নবীগঞ্জ কাইতাখালি এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে নাজমুল হাসান (৩০), সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে সাকিব (২০) ও একই এলাকার আমিনুল মিয়ার ছেলে রাতুল (১৯)। পরে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আটককৃতদের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ আইনের ১৫১ ধারায় তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর ফাঁড়ি এসআই রেজাউল করিমসহ সঙ্গীয় ফোর্স বন্দর ফাঁড়ি জিডিনং-২১২ মূলে গত শনিবার গভীর রাতে বন্দর ফাঁড়ি এলাকায় মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর রুপালী আবাসিক এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানকালে উল্লেখিত পুলিশ কুখ্যাত মাদক সম্রাট বিল্পব সিকদারসহ উল্লেখিত ৬ যুবককে আটক করে। পরে পুলিশ আটককৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে রোববার দুপুরে তাদেরকে পুলিশ আইনের ১৫১ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।