বন্দরে ১ সন্তানের জননী আফসানা বেগম (২১)কে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ ঘরের আঁড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে পাষন্ড স্বামী অনিকের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত ১১টা হইতে শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাত দেড়টা মধ্যে যে কোন সময়ে বন্দর উপজেলার নেহাল সরদারের বাগস্থ করিম মেম্বারের ভাড়াটিয়া বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে ধামগড় ফাঁড়ী পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী অনিক (২৫)কে আটক করেছে। আটককৃত স্বামী অনিক সুদূর মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার রামারপুল এলাকার গিয়াস উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। এ ঘটনায় বন্দর থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিহত গৃহবধূর ভাই খাইরুল ইসলাম জানান, আমার বোন গত দুই বছর পূর্বে মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার রামারপুল এলাকার গিয়াস উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে অনিকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা বন্দর উপজেলার নেহাল সরদারেরবাগস্থ জনৈক করিম মেম্বারের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। তাদের সংসারে ১১ মাসের এক সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে আমার বোনকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায়।
এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কারণে তাদের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া বিভেদ হতো। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় বন্দর উপজেলার নেহাল সরদারেরবাগস্থ করিম মেম্বারের ভাড়াটিয়া অনিক ও তার স্ত্রী আফসানা বেগমসহ তাদের ১১ মাসের সন্তান নিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পরে । পরে শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাত দেড়টায় তাদের ১১ মাসের সন্তান দুধ খাওয়ার জন্য কান্নাকাটিতে স্বামী অনিক ঘুম ভেঙ্গে দেখতে পায় তার স্ত্রী আফসানা বেগম নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরে আঁড়ার সাথে ঝুলে আছে। পরে এলাকাবাসী ঘটনাটি পুলিশকে সংবাদ জানালে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে গৃহবধূ মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, গৃহবধূ মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। লাশের গাঁয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী অনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।