বন্দরে সরকারী জলায়শ ভরাটের মহাৎসব চলছে। এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তিরা ড্রেজারের মাধ্যমে বন্দর ইউনিয়নের ৮ নং ওর্য়াডের সরকারী জলাশয় ভরাটের জন্য রাতের আধারে বাঁধ তৈরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, কুশিয়ারা ব্রীজ সংলগ্ন সরকারী খালটি স্থানীয় সুমন নামে এক ব্যক্তি প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে দখলে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। স্থায়ীভাবে দখলের জন্য নিজের জমির সাথে সরকারী খালটি বালু দিয়ে ভরাটের জন্য সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে । এর আগে বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্টের জন্য জায়গা ভরাট করার সুযোগ খালের অধিকাংশ দখল করে নিয়েছে। অবশিষ্ট খালগুলো দখলের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে কতিপয় ভূমিদস্যু সুমন মিয়া। এছাড়াও একই ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের বাগবাড়ি এলাকায় রেলওয়ের বিশাল পুকুর ড্রেজার দিয়ে ভরাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জনৈক আক্তার হোসেনের ড্রেজার দিয়ে সরকারি রেলওেয়ের জলাশয়ের ভরাট কাজ চলছে। রেলওয়ের রাস্তা কাটার অপরাধে গত রমজান মাসে অবৈধ ড্রেজার স্থাপনকারি আক্তার হোসেনকে সতর্ক করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম কুদরত এ খুদা। সেই আক্তারের ড্রেজারের মাধ্যমে রেলওয়ের বিশাল পুকুর ভরাট করার সাহস পায় কিভাবে এমনই প্রশ্ন সচেতন মহলের।
এ বিষয়ে বন্দর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এহসান উদ্দিন আহম্মেদ গণমাধ্যমকে জানায়, সরকারি জলাশয় ভরাটের বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম কুদরত এ খুদা জানান, সরকারী জলাশয় কেউ দখল বা দখলের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।