বন্দরে কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে যেখানে সেখানে নামে বেনামে অবাধে গড়ে উঠেছে অবৈধ বেকারী কারখানা। এর মধ্যে অধিকাংশ বেকারীতে অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরী করতে দেখা গেছে। ওই সকল বেকারী গুলোতে উৎপাদিত খাদ্যের মান প্রণয়ন এবং গুণগতমান ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণ কোনো ব্যবস্থা নেই। উৎপাদিত খাবারে দেশের মান নিয়ন্ত্রণকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) এর অনুমোদনসহ নেই উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ।
সোমবার (১৭অক্টোবর) বন্দরে বিভিন্ন বেকারী কারখানায় সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বন্দর থানার নবীগঞ্জ অলেম্পিয়া এলাকায় আব্দুল কাদির, বন্দর বাবুপাড়া এলকায় মামা ভাগ্নিা বেকারী, সোনাকান্দা এলাকায় আবেদ মিয়ার বেকারি, একই এলাকার নূর মোহাম্মদ পনেছ মিয়ার বেকারীসহ বন্দরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা বেকারী গুলোতে স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে অবাধে তৈরী হচ্ছে বেকারী খাবার। অভিযোগ রয়েছে খাবার তৈরীতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ও নিম্নমানের পাম তেল ব্যবহার করা হচ্ছে। নোংরা ও অপরিষ্কার কড়াইতে আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। ডালডা দিয়ে তৈরী করা ক্রিমের পাত্রগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি ভন ভন করছে। উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ ছাড়াই বাহারি মোড়কে বনরুটি, পাউরুটি, কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ধরনের বেকারি ফাস্টফুড খাবার উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ অলেম্পিয়া বেকারি মালিক আব্দুল কাদিরের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, মাসহারা দিয়েই বেকারি চালাই। কোন অসুবিধা নেই।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম কুদর-এ-খুদা জানান, বন্দরে বেকারী কারখানা গুলোর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।