বন্দরে লম্পট‘ মামা কর্তৃক ১০ বছরের কিশোরী ভাগ্নিকে ইচ্ছার বিরোদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণের ঘটনার ৭ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার (৩১ মে) দুপুরে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৫১(৫)২৩। এর আগে গত বুধবার (২৪ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের দেওয়ানবাগস্থ জনৈক ছিদ্দিক মিয়ার ভাড়াটিয়া ঘরে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণ মামলার বাদী আল আমিন নামক একটি মিষ্টি দোকানে চাকুরি করে। সে সাথে তার স্ত্রী অলেম্পিক নামক একটি প্রতিষ্ঠানে দুই শিফটে কাজ করে। তাদের সংসারে ৫ বছরের এক ছেলে ও ১০ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার (২৪ মে) সকাল ৮টায় মামলার বাদী ও তার স্ত্রী কাজে যায়। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টায় বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের দেওয়ানবাগ এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে বাড়িওয়ালা ফোনের মাধ্যমে বাদীকে জানায় তার মেয়ে অসুস্থ। পরে সংবাদ পেয়ে বাদী দ্রুত বাড়িতে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তার মেয়েকে উদ্ধার করে মদনপুর আল বারাকা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে ধর্ষিতা কিশোরী কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার গাসী পুকুরপাড় এলাকার রহমান শেখের ছেলে লম্পট মামা শামীম ওরফে আউয়াল (২৫) তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ভাবে ধর্ষণ করে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ধর্ষক শামীম ওরফে আউয়ালকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে।