বন্দরে মিশুক চুরি করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির মামলায় গ্রেপ্তারকৃত দুই চোরকে ১ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ আগষ্ট) গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা তাদেরকে পুনরায় আদালতে প্রেরণ করে। যার মামলা নং-১৮(৮)২২। এর আগে গত বুধবার (১৭ আগষ্ট) দুপুরে তাদেরকে চুরি ও চাঁদাবাজির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে রিমান্ডে আনে পুলিশ। রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলো নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার নয়াপাড়া এলাকার আলম সোহেল মিয়ার ছেলে চাঁন মিয়া (১৯) ও চট্রগ্রাম জেলার হাটহাজারি থানার কাটিরহাট এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২০)।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় মিশুক চালক আক্তারুজ্জামান ওরফে আসলাম কাজের উদ্দেশ্যে মিশুক গাড়ী নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। পরে ঐ দিন বিকেল ৫টায় বন্দর উপজেলার কুশিয়ারাস্থ সিরাজশাহ দরবারের সামনে অজ্ঞাত নামা ৪ জন যাত্রী কুড়িপাড়া যাওয়ার কথা বলে মিশুক গাড়ীতে উঠে। পরে যাত্রী বেশী চোরের দল মিশুক চালক আসলামকে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে মিশুক গাড়ীটি চুরি করে নিয়ে যায়। পরে চোরের দল ঐ দিন সন্ধ্যায় ০১৯২৬৭৫৬১৩৮ নাম্বার থেকে অটো চালকের মায়ের ব্যবহারকৃত ০১৯৪৬৯১৮৬৪৬ নাম্বারে ফোন দিয়ে বলে তার ছেলেকে আটকে রাখা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়াতে হবে। টাকা নিয়ে কোথায় আসতে হবে জানতে চাইলে উল্লেখিত নাম্বার ব্যবহারকারি মিশুক চালকের মাকে যাত্রাবাড়ী থানার শনিআখড়া এলাকায় যেতে বলে।
তাদের কথা অনুযায়ী মিশুক চালকের মা ও তার বড় ভাই যাত্রাবাড়ী শনিআখড়া এলাকায় এসে মিশুক চালককে খোঁজতে থাকে। এ পর্যায়ে গত বুধবার (১০ আগষ্ট) বিকেল ৫টায় শহরের খানপুর হাসপাতাল থেকে ফোনের মাধ্যমে মিশুক চালকের মা আসমা বেগমকে জানায় তার ছেলে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় মিশুক চালকের মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক মিরাজুল ইসলাম সোহাগসহ সঙ্গীয় ফোর্স যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের সহযোগিতায় শনিআখড়াস্থ গোবিন্দপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত মিশুকটি উদ্ধারসহ ৩ মিশুক চোরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।