বন্দরে আল-ফালাহ সোসাইটিতে সঞ্চয়কৃত প্রায় ২ কোটি টাকা ফেরত চান গ্রাহকরা। টাকা ফেরত পেতে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকালে বন্দর থানা পুলিশের স্মরণাপন্ন হয়েছেন ভূক্তভোগীরা। এ সময় আলফালাহ সোসাইটির পরিচালক এবং কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত হন। ওই সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রাহকরা। পরে এক সমঝোতা বৈঠকে গ্রাহকের টাকা পর্যায়ক্রমে ফেরত দেওয়ার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শান্ত হন গ্রাহকরা।
গ্রাহকরা জানান, শামসুজ্জোহা বন্দরের নোয়াদ্দা এলাকায় আলফালাহ নামের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে শতাধিক গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হন। এতে সর্বশান্ত যান তারা। শামসুজ্জোহা জানান, প্রতিষ্ঠানটি লোকসানের মুখে পড়ে বন্ধ হওয়ার কারণে পর্যায় ক্রমে তিনি গ্রাহকের পাওনা টাকা পরিশোধ করছেন।
এ ব্যাপারে গ্রাহক রোকেয়া বেগম জানান, আল-ফালায় ২১ লাখ টাকা জমা রাখেন তিনি। কয়েক বছর পর লোকসানের কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে এ টাকা গুলো আত্মসাতের ফন্দি করেন শামসুজ্জোহা। আল-ফালাহ বন্ধ হওয়ার পর টাকাগুলো ফেরত চাইলে তিনি তালবাহানা করেন। আমি ছাড়াও বন্দরে বিভিন্ন এলাকার প্রায় শতাধিক লোকের কাছ থেকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে শামসুজ্জোহা আত্মগোপন করে।
এ ব্যাপারে শামসুজ্জোহা বলেন, ২০১২ ও ১৩ইং সালে লোকসানের কারণে বন্ধ হয়ে যায় আল-ফালার কার্যক্রম। তারপরও প্রতিষ্ঠানের জমি বিক্রি করে গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছি।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি আবু বকর জানান, আলফালার গ্রাহক ও পরিচালকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তিনি পর্যায়ক্রমে গ্রাহকের টাকা ফেরত দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।