বন্দরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির (বিআইএমটি) দুই দল শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । এ ঘটনায় মেরিন ডিপ্লোমা কোর্সের তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, আশিক(১৮) আরমান(১৮) ও কাব্য(১৮)। আহত ছাত্রদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা শ্যামলী চক্ষু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
৩০ জুন বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় মেরিন টেকনোলজি প্লটনে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা মেরিন অধ্যক্ষ আকরাম আলীর নিকট বিচার চেয়ে না পেয়ে মেরিন ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষ অপসারন দাবিতে বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা দেখা দিলে খবর পেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা ও স্থানীয় কাউন্সিলর মোঃ শাহীন দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্ররা জানান, বৃহস্পতিবার জুনিয়র একদল ছাত্রদের মধ্যে ক্যাম্পাসের বাইরে সকাল ১০টায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সিনিয়র ছাত্ররা তাদের মীমাংসা করে দেয়। এরপর দুপুর ১:০০ টার দিকে ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থী শিশির, নাহিন, সিফাত ও মেহেদী এবং শীপবিল্ডিং কোর্সের সোহেল ও ফাহিম ইনস্টিটিউটের বাইরে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে আশিক , আরমান ও কাব্য’র উপর হামলা চালায়। এ সময় তিন ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এরপর সহপাঠিরা আহতদের উদ্ধার করে হাসাপাতালে প্রেরণ করে। এর সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ঘটনাটি অধ্যক্ষকে অবহিত করেন ছাত্ররা । কিন্তু ঘটনাটি প্রতিষ্ঠানের বাইরে ঘটায় কোনো ব্যবস্থা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন অধ্যক্ষ। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে ছাত্ররা। তারা ক্লাস বর্জন করে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে। এ সময় তারা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে নানা শ্লোগান দেয়। পরে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছাত্রদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দুই ছাত্র আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি মেরিনের অধ্যক্ষকে অনুরোধ জানান।