বিশেষ প্রতিবেদন:
প্রবাসে বউ রেখে গোপনে দেশে এসে বিয়ে, তা শুনে বাংলাদেশে উড়ে এলেন প্রথম স্ত্রী!
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসদরের খাস মহলস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে বৃহস্পতিবার রাতে চলছিল উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের এক মেয়ের মেহেদী সন্ধ্যার আয়োজন। সন্ধ্যা থেকে নিমন্ত্রিত অতিথি আসতে শুরু করেছেন। অনেক অতিথি খাওয়া-দাওয়া সারছিলেন।প্রবাসে বউ রেখে গোপনে দেশে এসে বিয়ে, শুনে বাংলাদেশে উড়ে এলেন প্রথম স্ত্রী!
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসদরের খাসমহলস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে বৃহস্পতিবার রাতে চলছিল উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের এক মেয়ের মেহেদী সন্ধ্যার আয়োজন। সন্ধ্যা থেকে নিমন্ত্রিত অতিথি আসতে শুরু করেছেন। অনেক অতিথি খাওয়া-দাওয়া সারছিলেন।
গতকাল শুক্রবার (২ জুন) একই কমিউনিটি সেন্টারে ছিল বিয়ের আয়োজনও। ওই মেয়ের সাথে বিয়ের আসরে বসবেন জিরি ইউনিয়নের মধ্যম জিরি গ্রামের প্রবাসী মোহাম্মদ একরাম। রান্না ঘরে চলছিল বিয়ের আমন্ত্রিত অতিথির খাবারের আয়োজন। আচমকাই সেখানে হাজির হন এক নারী। অনুষ্ঠানে এসে একরামের প্রথম স্ত্রী বলে দাবি করেন তিনি। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ওই অনুষ্ঠানে।
মেহেদীর সাজেঁ থাকা মেয়ের পরিবারের সদস্যরা তখন ওই নারীর কাছে তার ও একরামের বিয়ের কাগজপত্র দেখতে চান। তখন ওই নারী তাদের বিয়ের সকল ডকুমেন্টস দেখান। বিব্রতকর এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে মেয়ের পক্ষ ডেকে আনেন তাদের স্থানীয় কচুয়াই ইউপি চেয়ারম্যান ইনজামুল হক জসিমকে। চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে খবর দেন বর পক্ষকে। অভিভাবককে সাথে নিয়ে কনে পক্ষের মেহেদী অনুষ্ঠানস্থলে আসতে বলা হয় তাদের। পরে রাত ১টার দিকে বর, বরের অভিভাবক ও তাদের স্থানীয় জিরি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টিপুসহ উপস্থিত হন ।বর-কনের পরিবার ও ওই নারীকে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলেই শুরু হয় বিরোধ।
প্রথম স্ত্রী পরিচয় দেওয়া ঐ নারীর দাবি, খুলনা জেলার রুপসা গ্রামে তার বাড়ি। সে ওমানে (প্রবাসে) একটি মার্কেটে চাকরি করত। সেখানে একটি কোম্পানীতে চাকরি করত একরাম। সেখান থেকেই তাদের পরিচয় ও সম্পর্ক। ২০২১ সালে দেশে এসে দু-জনের সম্মতিতে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়েছিল তাদের। এরপর চট্টগ্রামে ভাড়া বাসা নিয়ে ৪ মাস সেখানে সংসার করেন তারা। এরপর দুজনেই প্রবাসে ফিরে যান। প্রবাসে সবকিছুই ঠিকঠাক মত চলছিল তাদের। হঠাৎ গত ১৫-২০ দিন আগে গ্রামের বাড়িতে জায়গা-সম্পত্তির ঝামেলার কথা জানিয়ে দেশে চলে আসেন একরাম। আমি সাথে আসতে চাইলে সে আমাকে আনেনি। পরবর্তীতে জানতে পারলাম দেশে এসে ফের বিয়ে করেছেন তার স্বামী। খবর পেয়ে দ্রুত টিকেট করে ওমান থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে চলে আসি। এরপর সোজা বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলে এসেছি।
কচুয়াই ইউপি চেয়ারম্যান ইনজামুল হক জসিম জানান, এ ঘটনায় একরামের দ্বিতীয় বিয়ের অনুষ্ঠান পন্ড হয়। অনুষ্ঠানের খরচ বাবদ সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা কনে পক্ষকে জরিমানা দিতে হয়েছে একরামকে। পরবর্তীতে যার যার মত সবাই ফিরে যান।
জিরি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টিপু জানান, প্রথম স্ত্রীর দাবির প্রেক্ষিতে একরামের দ্বিতীয় বিয়ের অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে গেছে। ওই নারী বর্তমানে তার বাড়িতে ফিরে গেছেন।
…………… প্রেমিকার অনশন………
এদিকে উখিয়া কলেজ এলাকায় (২ জুন) দুপুর থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তরুণী। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ৩ বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের ফাঁদে ফেলে ইলিয়াছ মোহাম্মদ রুবেল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন অস্বীকার করছে। তার পরিবারও এই সম্পর্ক মানতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেছেন ওই নারী। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলে জানান ঐ তরুণী।
স্থানীয় বাসিন্দা আয়েশা জানান, তাসলিমার সাথে ৩ বছর ধরে সম্পর্ক করে আসছে রুবেল। প্রেমিক প্রেমিকার কাছ থেকে কৌশলে প্রায় ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এর সূত্র ধরে শুক্রবার দুপুর থেকে রুবেলের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করেন ঐ মেয়ে।
রাজাপালং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ইকবাল বাহার জানান, শুক্রবার দুপুর থেকে ওই নারী বিয়ের দাবিতে রুবেলের বাড়িতে অনশন করছেন। তবে মেয়ের পরিবার আমার অফিসে এসেছে পরে ছেলের পরিবারকে অফিসে আসার জন্য খবর পাঠিয়েছি। যদি তারা আসে তাহলে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে সমাধান করার চেষ্টা করবো।
এছাড়া ও পলাতক থাকা ইলিয়াছ মোহাম্মদ রুবেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে নিউজ না করার জন্য আকুতি মিনতি করেন। এদিকে ইলিয়াছ মোহাম্মদ রুবেলের মা বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক হয়নি।
এ বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ওই নারী এখনো থানায় কোনও অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।