নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা থেকে কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার এতিহ্যবাহী ঢেঁকি। ঢেঁকিতে ধান দিয়ে চাউল বানানোর সময় গ্রাম্য মেয়েরা নানা ধরনের গান ধরতেন। স্মৃতিবিজড়িত সেই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আজ বিলুপ্তির খাতায়। জীবন দুটি বহমান নদীর মত—জোয়ারে এক রকম আর ভাটায় ভিন্ন রকমের পরিবেশে যেন মুহুর্তেই পাল্টে যায় চিত্র! মানুষের জীবন যাপনের উপাদান ও চলার পথ যেমন পাল্টে যায়, তেমনি ভাবে পাল্টে গেছে গ্রাম বাংলার চিত্র। পাড়া মহল্লা থেকে হারিয়ে গেছে এক সময়ের ঢেঁকি দিয়ে চাল তৈরি, চিড়া ভাঙ্গা, আটা, গম, যব, পায়েসের চালে গুড়া, ক্ষীর তৈরির চাল বানানো প্রচলন। সেই ঢেঁকি আজ অসহায় হয়ে পড়েছে ইঞ্জিন চালিত মেশিনের কাছে। কালের পরিবর্তন আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রাম বাংলা থেকে বিলীন হতে বসেছে ঢেঁকি। এখন তো গ্রাম ঘুরেও দেখা মেলে না। হয়তো কখনো জাদুঘরে তার স্থান হবে। বর্তমানে মানুষের প্রযুক্তি নির্ভরতা এবং কর্মব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় ঢেঁকির ব্যবহার নেই বললেই চলে। যদিও দেশের কিছু কিছু প্রত্যন্ত গ্রামঅঞ্চলে ঢেঁকির দেখা মেলে, তবে সেখানেও এসবের ব্যবহার কমতে শুরু করেছে। পৌষ মাসের শেষে নতুন ধানের গন্ধে যখন গ্রাম বিমোহিত হত, তখন গ্রাম্য মেয়েরা নতুন চালের পিঠা আর নানা খাবার তৈরিতে ব্যস্ত থাকত। এখন আর সেই দিন নেই। সব অতীতের স্মৃতির পাতায় জমে আছে। সেই ঢেঁকি আগে বারো মাস ব্যবহার করা হলেও এখন বিশেষ বিশেষ সময়ও দেখা যায় না। বিশেষ করে শীতের সময় পৌষ মাসে ঢেঁকির ব্যবহার অন্য সময়ের চেয়েও বেশি ছিল।