জি.এম. সুমন : আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টানা তিনবার। অথচ ক্ষমতাসীন এই দলটির বন্দর উপজেলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ও কৃষকলীগের কাউন্সিল হচ্ছে না প্রায় এক যুগের উপরে। বহু বছর ধরে কাউন্সিল না হওয়ার কারনে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কমিটি লেজগবরে অবস্থায় রয়েছে। র্দীঘ দিন ধরে যুবলীগ, ছাত্রলীগের তরুন নেতারা কাউন্সিল দাবি করে আসলেও তা মানছে না র্শীষ নেতারা। ওই সকল নেতারা নানা কারন দেখিয়ে বছরের পর বছর মেয়াদোর্ত্তীণ কমিটি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। এতে করে গুটি কয়েকজন নেতা লাভবান হলেও অধিকাংশ তরুণ নেতারা বহু বছর ধরে পদ-পদবি থেকে বঞ্চিত হয়ে পরেছে।
বিভিন্ন সূত্রে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০১৯ইং সালে ২৬ নভেম্বর মদনপুর এলাকায় বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কাউন্সিলে সভাপতি পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম.এর রশীদ ও সাধারন সম্পাদক পদে আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন প্রধানকে নির্বাচিত করা হয়।
বন্দর থানা যুবলীগের সর্বশেষে কাউন্সিল হয় ২০০৬ইং সালে ১৬ মার্চ ধামগড় এলাকায়। বন্দর থানা যুবলীগের কাউন্সিলে সভাপতি পদে ২ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে। এরা হলেন এডঃ হাবিবব আল মোজাহিদ পলু ও বর্তমান মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ন কবির মৃধা। কাউন্সিলদের ভোটে এডঃ হাবিব আলম মুজাহিদ পলু বিপুল ভোটে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়। এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বেশ কয়েকজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে। এরা হলেন হাতেম খন্দকার ও মনির মাষ্টার। কাউন্সিলরদের ভোটে হাতেম খন্দকার বিপুল ভোটে সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়।
এ ছাড়াও বন্দর থানা ছাত্রলীগের সর্ব শেষে কাউন্সিল হয় ২০০৫ইং সালে ৫ সেপ্টেম্বর আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি এস.এম. আকরামের বাসভবনে। তৎ সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু উপস্থিতিতে বন্দর থানা ছাত্রলীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কাউন্সিলে সভাপতি পদে ২ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে। এরা হলেন নজমুল হাসান আরিফ ও শফিউল্ল্যাহ মিয়া বাবু। কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নাজমুল হাসান আরিফ বিপুল ভোটে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়। এ ছাড়া ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জন প্রার্থী অংশ গ্রহন করে। এরা হলো আবুল হাসান, এম.এ সালাম, সাইফুল ইসলাম, মশিউর রহমান সুজু ও সাইদুল ইসলাম জুয়েল। কাউন্সিলরদের ভোটে আবুল হাসান বিপুল ভোটে সাধারন সম্পাদক পদে নির্বার্চিত হয়।
ছাত্রলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেওয়ার ৫ মাস পর হঠাৎ আবুল হাসান পুলিশের চাকুরি হওয়ার কারনে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যায়। এবং সে সময় থেকে যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বন্দর থানা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করে। সাইফুল ইসলামও রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেছে বলে একাধিক ছাত্রলীগ নেতা এ কথা জানিয়েছে। তাকে দলীয় কোন কর্মকান্ডে দেখা পাওয়া যায় না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের তরুণ নেতারা জানিয়েছে, রাজনীতি হচ্ছে চর্চার একটি মাধ্যম। আর এই চর্চার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সংগঠন। সংগঠন গুলো চাঙ্গা করার জন্য নতুন নেতা তৈরি করতে হবে। কিন্তু দুই বছর মেয়াদী কমিটি দিয়ে এক যুগ পার করে দেওয়া হলে নতুন নেতা তৈরি হবে না এবং রাজনীতি চর্চাও থাকবে না। যথা সময়ে গঠনতন্ত্র মোতাবেক মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি উপহার দেওয়ার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের হস্তক্ষেপ কামনা করছে দলের তরুণ নেতারা।