সোনারগাঁয়ে দিন দিন ভন্ড কবিরাজের তৎপরতা বেড়ে উঠায় ভোক্তভোগী রোগীরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আস্তানা গড়ে, নিরহ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা ওসব ভন্ড কবিরাজরা। ভুক্তভোগীরা জানায়, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের সাদীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর প্রতারক পুত্র আবু সাদেক মোহাম্মদ এছহাক তার নিজ বাড়ীতে সুবিশাল আস্তনা গড়ে তুলছে। তার এ ভন্ডামী আস্তানায় দুর দূরান্ত থেকে শত শত নারী- পুরুষ আসছে প্রতিনিয়ত। এদের রোগ বালাই সেড়ে উঠতে দেয়া হচ্ছে আরবি হরফ লেখা কাগজ, তাবিজ, পানি পড়া, তেল পড়া, ডাব পড়া, ডিম পড়া, ঝাড়ফুঁক সহ আরো হরেক রকম চিকিৎসা। ওসব ওষুধ বালিশের নীচে, গাছের ডালে, কমরে, হাতে- পায়ে বেঁধে রাখার নিয়ম করে দিচ্ছে। এতে রোগীর অবস্থার ধরন বুঝে নগদ টাকা সহ গরু, মহিষ, খাসি, ছাগল ভেড়া, মোরগ, দাবী করে ভন্ড পীর, কবিরাজরা। আবার রোগীর অর্থনৈতিক অবস্থা বুঝে প্রাইভেট চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখানে ওদের দাবীর বাজেট লাখ টাকার ওপর অর্থাৎ বড় বাজেট হয়ে থাকে। সাদীপুর গ্রামের ভন্ড কবিরাজ আবু সাদেক মোহাম্মদ এছহাকের নিকট আসা জনৈক এক নারী রোগীর সাথে কথা হলে তিনি জানান রোগ বালাই সারুক বা না সারুক অনেকে এখানে আসে তাই আসলাম। তার স্বামীর সাথে গড়মিল তাই ৫ হাজার টাকা দিয়ে দাওয়া নিয়েছেন তিনি। এলাকাবাসী জানান, একটি প্রভাবশালী মহলের শেল্টারে সে অহরহ ওসব ভন্ডামী কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। ওসব ভন্ডামী কর্মকান্ড ভালো চোখে দেখছে না এলাকাবাসী। সে একজন হেফাজত নেতাও বটে। ওসব ভন্ডামী কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রচুর অর্থের মালিক বনে গেছে। তিনি বিলাসবহুল গাড়ি হাঁকিয়ে চলাফেরা করা ছাড়াও বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগীরা ও এলাকাবাসী।