নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে যৌতুকের দাবিতে এক নববধূকে নির্যাতন করে গুম করার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে স্ব শরীরে থানায় উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীর মা মোসা.কহিনুর বেগম মেয়ের স্বামী, শশুর ও শ্বাশুড়িকে আসামী করে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার বাড়ি মজলিস এলাকার বলাকির আনোয়ার হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া বাদল, তার ছেলে মোঃ বানটি ও শ্বাশুড়ি নাদিরা। অভিযোগসুত্রে জানা যায়, এক মাস পূর্বে উপজেলার বাড়ি মজলিস এলাকার বাদলের ছেলে মো .বানটির সাথে (২৪),মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কানাই নগর গ্রামের মোঃ মমিনের মেয়ে মিম (১৮) এর ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক উভয় পরিবারের মর্জিতে সামাজিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকেই নববধূ মিমকে যৌতুকের দাবিতে মারধর করে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪/১/২০২৩ ইং তারিখে শ্বশুর শ্বাশুড়ির প্ররোচনায় নববধূর স্বামী মোঃ বানটি ফার্নিচার বাবদ ২ লাখ টাকার দাবীতে নববধূকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এদিকে ভুক্তভোগীর বাবা মেয়ের সুখের কথা ভেবে ২ লক্ষ টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে বানটির বাড়িতে মেয়েকে রেখে চলে আসে। গত ২৭/ ১/ ২৩ ইং তারিখে নববধূর শ্বাশুড়ি নাদিরা,মিমের পরিবারকে ফোন করে জানায় আপনার মেয়ে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে। পরে মিমের পরিবার বানটির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে মিমের পরিবারকে গালিগালাজসহ প্রাননাশের হুমকি দেয়। যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে গুম করা হয়েছে বলে থানায় লিখিত একটি অভিযোগ করা হয়। এই বিষয়ে নববধূর শ্বাশুড়ি মুঠোফোনে বলেন, আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আল্লাহ আমাদের আনেক ধন-সম্পদ দিয়েছে, আমরা তাদের কাছে কখনো যৌতুকের টাকা দাবি করি নাই। যদি যৌতুক চাইতাম তাহলে বিয়ের দিনই চাইতাম। আর তাকে আমি সহ আমাদের পরিবারের কেউ যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করি নাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ বানটির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠোফোনটির সুইচ অফ পাওয়া যায়। সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) আহসান উল্লাহ বলেন, উভয় পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।