নিজস্ব প্রতিবেদক: মোঃ জালাল উদ্দিনঃ মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি এম নাসের রহমানের ওপর আওয়ামী যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে জেলা কৃষক দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। একই সঙ্গে হামলাকারীদের রাজপথে মোকাবিলা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানানো হয়।
শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ ইং, বিকেলে জেলা কৃষকদলের উদ্যোগে শহরের কুসুমবাগ এসআর প্লাজার সামন থেকে প্রতিবাদ সভা শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের সেন্ট্রাল রোডের এম সাইফুর রহমান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিকন্দর আলী সড়কের মোড়ে গিয়ে হয়।
জেলা কৃষকদলের আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল করিম ঈমানী’র পরিচালনায় বিক্ষোভ মিছিল পূর্বসমাবেশে বক্তব্য দেন-জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক মশিদুল হোসেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক মকসুদুর রহমান মসুদ, কুলাউড়া উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক শোয়েব আহমদ, সাধারণ সম্পাদক বুল বুল আহমেদ, রাজনগর উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আতিক, সদর উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক কয়েস আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন-গত ১১ মার্চ মৌলভীবাজারে কেন্দ্র ঘোষিত জেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীর শুরুতেই আওয়ামী যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশের মদদে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপরে সশস্ত্র হামলা চালায়। শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচীতে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে পুলিশের ছত্রছায়ায় লাটিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে নিয়ে মহড়া দেয়। এবং বিএনপির ও অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দের ওপর আকস্মিক ন্যক্কারজনক হামলা করে। এসময় পুলিশ নিরব ভুমিকা পালন করে। যাহা জেলা বাসীসহ দেশবাসীকে ব্যথিত করেছে।
বর্বরোচিত ও কাপুরুষোচিত হামলায় সাবেক এমপি ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় নেতা এম নাসের রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব মোঃ জসিম উদ্দিনসহ প্রায় ২৫ জন নেতাকর্মী মারাত্মকভাবে আহত হন। এম নাসের রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক। বিনা কারণে এই হামলা ন্যক্কারজনক।
সভায় এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়।