মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল প্রতিবেদক
মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গলে প্রথম শ্রেণীর শিশু ছাত্রী রুমকি আক্তারকে বালুবাহী ট্রাক চাপাদিয়ে মারাত্মক আহত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবীতে ও অবাধে বালু উক্তোলন ও বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করে শাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ২০২২ইং, সকাল ১১টার সময় শাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক-শিক্ষক ও এলাকাবাসীসহ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন হাজার মানুষ।
উক্ত মানববন্ধন পরিচালনা করেন, শাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পিনাকী রঞ্জন দেব।
শাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমাদের স্কুলের প্রথম শ্রেনির ছাত্রী রুমকি গত বৃহস্পতিবার বাড়িথেকে বিদ্যালয়ে আসার পথে বালুবাহী ট্রাক থাকে আহত করে, এতে তার পা ভেঙ্গে যায়, সে বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
আমরা চাই বালুর গাড়িগুলো এই সড়ক দিয়ে না চলাচল করে, যাতে আমাদের শিশুরা বিদ্যালয়ের
নিরাপদে আসতে পারে, এ ভাবে যেন আর কোন শিশু ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তারই জন্যে আজকে এই প্রতিবাদ-মানববন্ধন।
ভূনবীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ বলেন, আজ যে মানববন্ধন হয়েছে এবং যারা এসেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাই কারন যে নির্মমভাবে বালুর গাড়ি দিয়ে শিশুটিকে যকম করার পর শিশুটিকে কোন চিকিৎসা সেবা সহযোগিতা না করে চলে যাওয়ায় তাদের প্রতি নিন্দা প্রকাশ করছি। এলাকাবাসী যারা তৎক্ষণাৎ সময়ে শিশুটিকে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং ট্রাক ড্রাইভার কে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার ০৮সেপ্টেম্বর ২০২২ইং, সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলা ভূনবীর ইউনিয়নের শাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী রুমকি আক্তার (৫)। রুমকি আক্তার পার্শবর্তী বটতল এলাকার, মোঃ ইসমাইল লস্কর এর মেয়ে। সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় বালু ভর্তি একটি ডায়না ট্রাক গাড়ি রুমকি আক্তারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, এবং গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে তার পা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে ট্রাকের ড্রাইভার ট্রাক ফেলে পালিয়ে যায়। রুমকি আক্তারকে প্রথমে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তবরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।