স্টাফ রিপোর্টার- খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুকৃবি) সরাসরি সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের প্রধান শর্ত ছিল পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হবে। সে মোতাবেক মোঃ আশিকুল আলমের ২০১৯ সালের ১৫’ই অক্টোবরের মধ্যে অর্থাৎ প্রায় আড়াই বছর পূর্বে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করার কথা ছিল। কারন ২০১৯ সালের ১৫’ই অক্টোবর ছিল মাইক্রোবায়োলজি এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদে আবেদনের শেষ দিন।
কিন্তু সেই থেকে আজ অবধি মোঃ আশিকুল আলম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে পারেননি। সুতরাং নিয়মানুযায়ী তিনি উল্লেখিত বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার পদে আবেদনের যোগ্য এখনও হয়ে ওঠেনি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুকৃবি সংশ্লিষ্টরা জানান তৎকালীন সময়ে একই বিষয়ে জাপান থেকে পিএইচডি করে আসা ড. শফিউল্লাহ পারভেজ নামে আরো একজন প্রার্থী ছিলেন যাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। অন্যদিকে মোঃ আশিকুল আলম ভিসি ড. শহীদুর রহমান খানের নিকটতম ছাত্র, সেই সম্পর্কের সুবাদে কোনো এক গোপন মন্ত্র বলে আশিকুল আলম বহাল তবিয়তে সহকারী অধ্যাপক পদে চাকরি করছেন। তাছাড়া পূর্বে বহুবার ভিসি ড. শহীদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতির নানান অভিযোগ ওঠে। জানা গেছে এবিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীগন সংবাদ প্রকাশ করেন। এমনকি স্থানীয় সচেতন নাগরিকগন খুকৃবির ভিসি ও রেজিস্ট্রারের নিয়োগ বানিজ্যের তথ্য তুলে ধরে তাদের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনও করেন।
কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য সকল নিয়ম উপড়ে ফেলে রূপকথার অলৌকিকতার ন্যায় স্বপদে বহাল রয়েছেন ভিসি ও তার প্রিয় ছাত্র সহকারী অধ্যাপক মোঃ আশিকুল আলম। উক্ত নিয়োগের উদাহরণ ভবিষ্যতে আরও অনেক অযোগ্য লোকের নিয়োগ রাস্তা সহজ করবে এবং খুকৃবির শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ বিনষ্ট করবে এবং ঘটনাটি একটি কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে এদেশে সম্পূর্ণ বেমানান।
এ বিষয়ে ভিসি ডক্টর শহীদুর রহমান খানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। অন্যদিকে সহকারী অধ্যাপক আশিকুল আলমের সঙ্গে মোবাইল সংযোগে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এছাড়া খুকৃবির রেজিস্টার, সপ্তম ও দশম গ্রেডের পদে নিয়োগ সহ অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারীর নিয়োগ নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ।