বন্দর থানা এখন সখের করাতে পরিণত হওয়ার অভিযোগ করেছে সেবা না পাওয়া ভুক্তভোগী আব্দুর রহমানের পরিবার। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আব্দুর রহমান(৪৬) নামে এক মুদি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করার ঘটনায় ৫দিন অতিবাহিত হলেও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ। প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে অভিযুক্তরা। অভিযুক্তদের নানা হুমকি দামকির কারণে চরম নিরাপত্তাহীণতায় ভূগছে মুদি দোকানী আব্দুর রহমানের পরিবার। গত মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে বন্দর শাহীমসজিদ ঠাকুরবাড়ি এলাকায় ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
হামলার বর্ণনা দিয়ে আব্দুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে এমন সময় এসেছে মার খেলেও বিচার পাওয়া যায়না। থানা কর্তৃপক্ষ দুই বার সময় দিয়েও কোন সমাধান দিতে পারলো না। তাই অন্যায় কারীর বিচার আল্লাহর কাছে দিয়ে দিয়েছি। তিনি প্রকৃত সমাধানকারী। সম্প্রতি বন্দর শাহী মসজিদ ঠাকুরবাড়ি এলাকায় জায়গার সীমানা নিয়ে আমার পরিবারের সাথে পার্শ্ববর্তী রাজা মাষ্টারের ৩ ছেলে উচ্ছৃঙ্খল বুলবুল, রাজিব ও মুন্নার দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। উল্লেখিতরা বিগত ৪ বছর পূর্বেও আমার পরিবার ও আমার শাশুড়িকে পিটিয়ে আহত করেছিল। সর্বশেষ গত ২১ ফেব্রুয়ারী বিকেলে সীমানা নিয়ে কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে বিবাদীরা আমার স্ত্রী ও শাশুড়িকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ভীতি প্রদান করে। আমি গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে এলোপাথারী ভাবে কাঠের ডাসা দিয়ে মারধর শুরু করে এবং আমার স্ত্রী বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে গলায় থাকা ২ভরি স্বর্ণের চেইন চুরি করে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাদের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে আমাকে মাথায় কুপিয়ে আহত ও পিটিয়ে জখম করে। এ সময় আমি ও আমার পরিবারের লোকজনদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আসামীরা প্রাণ নাশের হুমকি ধমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। গুরুতর রক্তাক্ত জখমাবস্থায় আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়।
হামলার শিকার মুদি ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানের লিখিত অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত না করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর থানার ওসি আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, উভয় পক্ষ অভিযোগ হয়েছে। তদন্তকারী অফিসারের সাথে কথা বলেন। মামলা নেয়ার মত হলে মামলা হবে।