বন্দরে আলোচিত মিশুক চালক কায়েসের জবাই করা লাশ উদ্ধারের ১২ ঘন্টার ব্যবধানে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার (১ অক্টোবর) রাতে বন্দর উপজেলার পদুঘর ও তিনগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর উপজেলার পদুঘর এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান শিমুল ওরফে শ্যামল (২৫) একই এলাকার মোক্তার হোসেন মিয়ার ছেলে কাউছার (২০) ও বন্দর তিনগ্ঁও ভদ্রসন এলাকার নাছির উদ্দিন বিটল মিয়ার ছেলে লিমন ওরফে রিমন (২০)।
পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের রোববার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হলে ৩ আসামীর মধ্যে হত্যাকান্ডের মাষ্টার মাইন্ড কামরুজ্জামান শিমুল ওরফে শ্যামল ও অপর আসামী লিমন ওরফে রিমন বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে। এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামী কাউছারকে ২ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। নিহত মিশুক চালক কায়েস বন্দর থানার ২৪নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার জনৈক উজ্জল মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া ও একই এলাকার আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে। মামলা নং- ৩(১০)২২ ধারা- ৩০২/ ২০১/৩৪/ ৩৯৪ পেনাল কোড-১৮৬০।
উল্লেখ্য, বন্দর থানার নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া সফিক মিয়ার ছেলে কায়েস (১৫) জীবীকার তাগিদে র্দীঘ দিন ধরে মিশুক চালিয়ে আসছে। গত বুধবার (২৭ সেপ্টম্বর) ভোর ৬টায় প্রতিদিনের ন্যায় কায়েস মিশুক নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গত ৪ দিন ধরে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজি করে কায়েস এর কোন সন্ধান না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বন্দর থানায় জিডি করা হয়। এ দিকে এলাকাবাসী মাধ্যমে জানতে পারি যে, গত বৃহস্পতিবার ছেলের ভাড়াকৃত মিশুক গাড়ীটি তার মালিক সফিক মিয়া মদনপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে। গত শনিবার সকালে স্থানীয় এলাকাবাসী ধান ক্ষেতে অজ্ঞাত লাশ দেখতে পেয়ে বন্দর থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে এলাকাবাসী মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ছেলে কায়েস এর মৃতদেহ সনাক্ত করি।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা, মিশুক চালকের লাশ উদ্ধারের ১২ ঘটনার মধ্যে প্রকৃত হত্যাকারিসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেপ্তারকৃত ৩ জনের মধ্যে ১নং ও ৩নং আসামী হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে। অপর আসামী কাউছারকে ২ দিনের রিমান্ডে এনে ব্যাপক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।