মাংসের দোকানের ভিতরে গুটি ১০/১৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএনপি ও জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরোদ্ধে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ায় এ নিয়ে বন্দরে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা ঝড় সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টায় মদনপুর বাস স্ট্যান্ডের সামনে মাংসের দোকানে বন্দর থানা যুবলীগ কর্তৃক আয়োজিত শান্তি সমাবেশের ব্যানার সাটিয়ে নিয়ম রক্ষার জন্য এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এমন কথা জানিয়েছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মদনপুর ও ধামগড় ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন যুবলীগ নেতাকর্মী।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো জানিয়েছে, বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের জাঙ্গাল এলাকার বসিন্দা বন্দর থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক খন্দকার হাতেম হোসাইন যুবলীগের সভাপতি পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা আসার পর থেকে খন্দকার হাতেম হোসাইন রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে টাকা কামানোর নেশা মশগুল হয়ে পরে। দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে বিরত থাকলেও ইদানিং অর্থাৎ ২/৩ বছর ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এডঃ আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদলের ব্যানারে আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠে। বর্তমানে তিনি বন্দর থানা যুবলীগের সভাপতি পদে অসীন হওয়ার জন্য ভিপি বাদলসহ নারায়নগঞ্জ জেলার শীর্ষ নেতাদের কাছে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। এর ধারাবাহিকতায় রোববার বন্দর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি প্রার্থী খন্দকার হাতেম হোসাইনের সভাপতিত্বে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে একটি মাংসের দোকানে ১০/১৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে তিনি শান্তি সমাবেশ করেছে।
মদনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমান উল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় শান্তি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস আই জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ধামগড় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদ, ধামগড় ইউপি’র ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও যুবলীগ নেতা মনির হোসেন, মদনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম,আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামাল ভূঁইয়া, গাজী রাসেল, আমান উল্লাহ, বাপ্পি ভূঁইয়া, শাকিল মাহামুদ, নজরুল ইসলাম বাদশা, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আক্তার সজল, ইকবাল হোসেন প্রমূখ ।