বন্দরে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক অবৈধ বেকু জব্দ করে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দিলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে দেদারসে কৃষি জমি কাটার কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে জাপা নেতার পুত্র ভূমিদস্যু শাওনসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভূমিদস্যু চক্রটি নিরীহ মানুষদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অবাধে ফসলি জমি মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। যার কারনে ফসলি জমির সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে। এলাবাসীর তথ্য সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসার পর থেকে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি বাচ্চু মিয়ার ছেলে শাওনসহ একটি চক্র দীর্ঘ দিন ধরে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজীপুর ও ফরাজিকান্দা বিলের অধিকাংশ জমির মাটি কেটে ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাটের কাজ চালিয়ে আসছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বন্দর উপজেলা পরিষদের সহকারি (ভূমি) কমিশনার সুরাইয়া ইয়াসমিনের নেতেৃত্বে বন্দরে ভ্রাম্যমান আদালতের একটি টিম কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজীপুর ও ফরাজিকান্দা বিলে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় ফসলি জমির মাটি কাটার অপরাধে একটি মাটি কাটার বেকু জব্দ করে। ওই সময় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে গা ডাকা দেয় মাটি খেকু শাওনসহ তার সন্ত্রাসী গ্রুপ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাজীপুর ও ফরাজিকান্দা এলাকাবাসী গণমাধ্যমেকে আরো জানান, বন্দরে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক মাটি কাটার বেকুটি জব্দ করলেও মাটি খেঁকুদের মাটা কাটার কাজ বন্ধ করতে পারেনি বন্দর উপজেলা প্রশাসন। উল্লেখিত চক্রটি প্রতিদিন রাতে আধারে হাজীপুর ও ফরাজিকান্দা ফসলি জমি কেটে বিলিন করে দিচ্ছে। রাতের আধারে ফসলি জমি মাটি কেঁটে নিয়ে গেলেও জাপা নেতা বাচ্চু মিয়ার ছেলে হওয়ার সুবাদে মাটি খেঁকু শাওনসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী বেকু এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। ফসলি জমি রক্ষাসহ মাটি খেঁকু শাওন, রানা, খোকনের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে বন্দরে সচেতন মহল।