বন্দরে জমি অধিগ্রহণের খবরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। চক্রটি অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিতে অধিগ্রহণকৃত জমিতে নতুন করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করছে। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ নগরীকে দূষণ মুক্ত রাখতে বন্দরে ৩০১ কোটি ৩৫ লাখ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল তৈরি করছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। এ জন্য ২৫ নং ওয়ার্ডের ধামগড় ও লক্ষণখোলা মৌজায় ৬৯ দশমিক ৮৭ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন।
এলাকাবাসী জানান, জমি অধিগ্রহণের খবরে টাকা হাতিয়ে নিতে অধিগ্রহণকৃত জমিতে নতুন করে স্থাপনা তৈরি শুরু করেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এরই মধ্যে নিচু জমি ও বিল ভরাট করে শতাধিক ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণের পর আলকাতরা বা কালো রং মেখে পুরনো বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে নাল জমিকে বসতভিটা বানাতে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসকেও ম্যানেজ করার চেষ্টা করছে তারা। এ নিয়ে কেউ মন্ত্রণালয় ও ডিসি অফিসের কর্মচারী পরিচয়ও দিচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানান।
সরেজমিন পরিদর্শন কালে দেখা যায়, রং ফ্যাক্টরীর নাদিম, তুলা মিলের জুয়েল, মোঃ কবির , হিজড়াগ্রুপ, সেলিম মিয়া , শিশূ মিয়া, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন. গ্লাস ফ্যাক্টরীর মানিক, গৌতম, মোস্তফা, বুলবুল, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হেলেনা, আনোয়ার হোসেনসহ অনেকেই একচালা দোচালা ও চৌচালঅ বিশিষ্ট ঘর তুলেছেন।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরাত এ খুদা জানান, অধিগ্রহণকৃত জমিতে ঘরবাড়ি তুললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনারকে(ভুমি) এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, সরেজমিন যাচাই ও ভিডিওকরণ দুই বছর আগেই সম্পন্ন হয়েছে। এখন নতুন করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে কোনো লাভ হবেনা। যে জমি নাল হিসেবে গণ্য হয়েছে সেগুলো বসতভিটার মূল্য পাবেনা।
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ শহরে প্রতিদিন ৩৫০ টন কঠিন বর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে দৈনিক ২৯০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করছে সিটি কর্পোরেশন। অবশিষ্ট অপরিশোধিত বর্জ্য নদীর পাড়ে বা খালের ওপর ডাম্প করা হচ্ছে। এ ছাড়া আবাসিক – বাণিজ্যিক ও মেডিকেল বর্জ্য রাস্তার পাশে পুকুর অথবা খালে ফেলা হচ্ছে। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। তাই দূষণ রোধে ডাম্পিং পয়েন্ট তৈরির জন্য ২০২০ সালে বন্দরের লক্ষণখোলায় জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়।