বন্দরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভূমিদস্যুদের সন্ত্রাসী হামলায় সখিনা খাতুন (৭০) নামে এক বৃদ্ধাকে বেদম ভাবে কুপিয়ে বাড়ি ঘর ও প্রাইভেট কার ভাংচুর করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গত শুক্রবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় আহত বৃদ্ধা সখিনা খাতুনের ছেলে কাজী মজনু মিয়া বাদী হয়ে ভূমিদস্যু রাসেদ, সন্ত্রাসী হৃদয় ও মফিজলের নাম উল্লেখ্য করে ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আলীসারদী এলাকার মৃত কাজী নুর ইসলাম মিয়ার ছেলে কাজী মজনু মিয়া তার ঘরের পাশে একটি গ্যারেজ নির্মান করে। গ্যারেজ নির্মান করার পর থেকে বন্দর উপজেলার চুনাভূরা এলাকার মৃত রবিউল ওরফে রবুল মিয়ার ছেলে রাসেদ ও একই উপজেলার আলীসারদী এলাকার হাকিম আলী মিয়ার ছেলে হৃদয় ও একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোসেন মিয়ার ছেলে মফিজল ক্ষিপ্ত হয়ে নিহি কাজি মজনুর সাথে খারাপ ব্যবহার করাসহ উল্লেখিত গ্যারেজ নিজেদের বলে দাবি করে। এ ঘটনায় নিরীহ কাজী মজনু মিয়া আইনের সহয়তা নিলে ওই সময় উল্লেখিত বিবাদীরা তাদের প্রয়োজনীয় কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ঐ সূত্র ধরে গত শুক্রবার (২২ জুলাই) বেলা দেড়টায় ভূমিদস্যু রাসেদ, সন্ত্রাসী হৃদয় ও মফিজুল ক্ষিপ্ত হয়ে বেআইনি ভাবে আমার বসত বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা আমার বাড়ি ঘর প্রাইভেট কার ভাংচুর করে প্রায় দেড়লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে। ওই সময় হামলাকারি হৃদয় ও মফিজুল আমার ঘরে রক্ষতি নগদ ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে নিরীহ কাজী মজনুর বৃদ্ধা মা ৭০ বছরের সখিনা খতুনকে কুপিয়ে জখম করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিরীহ কাজী মজনু বাদী হয়ে বন্দর থানার আরো একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা গনমাধ্যমকে জানান, মারামারি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।