বন্দরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই মাদ্রাসার সহপাঠীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ভাবে ধর্ষণের অভিযোগে লম্পট মাদ্রাসা ছাত্র সজল (১৮)কে গ্রেপ্তার করেছে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ।
গত বুধবার (১ র্মাচ) বিকেলে বন্দর থানার মালিভিটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক সজল বন্দর উপজেলার কামতালস্থ মালিভিটা এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেন মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় নুরুল আলানুর এছহাকিয়া হোসাইনিয়া দাখিল মাদ্রাসার দাখিল পরিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় কামতাল মালিভিটাস্থ বাদিনী বসত বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বের থাকার একটি রুমে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত সহপাঠী ধর্ষক সজলকে আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে সহপাঠীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক মাদ্রাসা ছাত্র সজলের গ্রেপ্তারের সংবাদ ছড়িয়ে পরলে খবর পেয়ে ধামগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার সফরউদ্দিনসহ একটি মহল ধর্ষক মাদ্রাসা ছাত্র সজলকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য রাতভর ব্যর্থ তদবির চালিয়েছে বলে অপর একটি সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরিক্ষার পর বৃহ্পতিবার দুপুরে ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে। সে সাথে লম্পট ধর্ষক সজলকে জামাই আদরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসীর তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কামতাল মালিভিটা এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেন মিয়ার ছেলে দাখিল পরীক্ষার্থী সজল মিয়া স্থানীয় নুরুল আলানুর এছহাকিয়া হোসাইনিয়া দাখিল মাদ্রাসায় লেখাপড়া করার সুবাদে একই এলাকার একই মাদ্রাসা দাখিল পরীক্ষার্থী (১৬) সাথে পরিচয় হয়। উক্ত পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দাখিল পরীক্ষার্থীর পিতা-মাতা বাসায় না থাকার সুবাদের লম্পট মাদ্রাসা ছাত্র সজল তার সহপাঠী দাখিল পরিক্ষার্থী (১৬)কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদিনীর বসত বাড়ী পূর্ব পার্শ্বের থাকার একটি রুমে নিয়ে জোরপূর্বকভাবে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষিতা বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ ঘটনায় কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ গত বুধবার বিকেলে মালিভিটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মাদ্রাসা ছাত্র সজলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর ছিদ্দিক জানান, মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।