নারায়ণগঞ্জের বন্দরবাসীর প্রানের দাবি শীতলক্ষ্যা নদীর উপর নির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নাসিম ওসমান তৃতীয় সেতুর শুভ উদ্ধোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে তিনি গনভবন থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে এ সেতুর উদ্বোধন করেন।
ওই সময় সেতুর পূর্ব প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম. সেলিম ওসমান, ৪ আসনের এমপি এ কে এম শামীন ওসমান, ২ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, ৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মনজুরুল হাফিজ, বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা বি.এম. কুদরত এ খুদা, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম.এ রশীদ, একই কমিটি সাধারন সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের নেতা আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন প্রধান ও যুগ্ম সম্পাদক সাহাদাত হোসেনসহ স্থাণীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ।
সেতুটি শুভ উদ্বোধনের পর ছোট ছোট যানবাহন চলাচল শুরু হয়। ১২৩৪ দশমিক ৫০ মিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মান ব্যয় হয়েছে ৬০৮ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সৌদি উন্নয়ন তহবিলের ৩৪৫ দশমিক ২০ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ২৬৩ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা । সেতুর পিলারে সংখ্যা মোট ৩৮টি। এর মধ্যে নদীতে রয়েছে ৫টি পিলার। মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপর হয়ে শ্রীনগরের ছনবাড়ী পয়েন্ট দিয়ে ঢাকা-মাওয়া –ভাঙ্গা সুপার এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর সঙ্গে যুক্ত হবে এই সেতু। এতে করে কাঁচপুর, সাইনবোর্ড, রাজধানীর যানজট নিরসন হবে। এ সেতুটি নারায়ণগঞ্জ শহরের সাথে বন্দর উপজেলাকে যুক্ত করেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে বন্দর উপজেলাকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল শীতলক্ষ্যা নদী। এ নদী পারাপারে নানা ভোগান্তি পোহাতেন এ অঞ্চলের মানুষ। সেই ভোগান্তি ঘোচাতে ও নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ২০১৫ ইং সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী সেতু নির্মান কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ ও সদর উপজেলার সৈয়দপুর প্রান্তে নির্মিত হয়েছে স্বপ্নের তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু। পরে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কেএম নাসিম ওসমানের নামে এ সেতুর নামকরণ করা হয়।
৬ লেন বিশিষ্ট এ সেতুর ৪ লেনে দ্রুত গতির যানবাহন এবং ২ লেনে চলছে রিক্সা, সাইকেল, ভ্যানসহ স্বল্পগতির যানবাহন । সেতুর দুই পাশের রেলিং ঘেষে রয়েছে ফুটপাত।