বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় গৃহবধূসহ ৫ জন রক্তাক্ত জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলো মাহাবুব (৩৬) আব্দুল হালিম (৪৬) জাহাঙ্গীর (৪৫) লাভলী বেগম (৩০) ও সোহেল (৩২)। এলাকাবাসী আহতদের মধ্যে গুরুত্বর জখম অবস্থায় মাহাবুবকে উদ্ধার করে ঢাকা পঙ্গুহাসপাতালে প্রেরণ করেছে। সে সাথে বাকি আহতদের বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বন্দর থানার ২৪ নং ওর্য়াডস্থ দেউলী চৌরাপাড়া এলাকায় ঝনৈক আউয়াল মিয়ার বাড়ি সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে আহত মাহাবুব হোসেনের চাচি হামিলা বেগম বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন বিকেলে পুলিশ সোর্স ও বহু অপকর্মের হোতা লেডী সন্ত্রাসী হামিদা বেগমসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আহতরা গনমাধ্যমকে জানিয়েছে, দীর্ঘ ২০ বছর পূর্বে অর্থাৎ ২০০০১ ইং সালে বন্দর থানার দেউলী চৌরাপাড়া এলাকায় ফজল হক হত্যাকান্ড নিয়ে নিহতের ছেলে হানিফ প্রধানের সাথে একই এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার স্ত্রী পুলিশ সোর্স হামিদা বেগম গংদের পূর্ব বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রৈডি সন্ত্রাসী হামিদা বেগমের র্নিদেশে তার তিন সন্ত্রাসী ছেলে শামীম, রাজন ও রাজিব ও একই এলাকার মৃত নুরু মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী ৫ ছেলে রফিকুল, সুমন, শফিকুল সম্রাট ও শাকিলসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিহত ফজল হকের নাতি মাহাবুবকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাহাবুবকে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে জখম করে। ওই সময় মাহাবুবের ডাক চিৎকার শুনে তার আত্মীয় আব্দুল হালিম (৪৬) জাহাঙ্গীর (৪৪) সোহেল (৩২) ও গৃহবধু লাভলী বেগম (২৮) তাকে বাাঁচাতে এগিয়ে আসলে ওই সময় হামলাকারিরা ধারালো রাম দা দিয়ে কুপিয়ে তাদেরকেও রক্তাক্ত জখম করে। এ ব্যাপারে বন্দর তানার অফিসার ইনর্চাজ দীপন চন্দ্র সাহা জানান, মারামারি ঘটনার খবর পেয়ে আমি সাথে সাথে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছি। এলাকা এখন শান্ত । এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে।