বন্দরে লন্ডন প্রবাসীর বাস ভবনে দূর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় আহত সদ্য লন্ডন প্রবাস ফেরৎ আসাদ চৌধূরী ওরফে মঞ্জু বাদী হয়ে গত রোববার (১৫ জানুয়ারী) রাতে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন । তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লুন্ঠিত মালামালের উদ্ধারের কোন সংবাদ জানাতে পারেনি পুলিশ। যার মামলা নং- ২২(১)২৩ ধারা- ৩৯৫/ ৩৯৭ পেনাল কোড ১৮৬০। এর আগে গত রোববার (১৫ জানুয়ারী) রাত ৪টা হইতে ভোর ৫টা মধ্যে যে কোন সময়ে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মালিবাগস্থ রওশন আনোয়ার প্লেসে এ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১৪ জানুয়ারী) রাত ১১টায় মামলার বাদী ও তার পিতা আনোয়ার আলী প্রধান মা রওশন আরা বেগম ও কাজের মেয়ে রহিমা খাতুন রাতের খাবার খেয়ে নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে চলে যাই। গত রোববার ( ১৫ জানুয়ারী) ভোর ৪টায় অজ্ঞাত নামা মুখোশধারী ৫/৬ জনের একটি ডাকাত দল আমার বসত বাড়ি নিচতলার পূর্ব-দক্ষিন পাশের রুমের জানালার গ্রীল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে ডাকাত দল আমার রুমের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে আমাকে জিম্মি করে। আমি ঐ সময় ডাক-চিৎকারের চেষ্টা করলে ডাকাত দল আমাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে ডাকাত দল আমার মায়ের শাড়ী কাপড় ছিড়ে আমার দুই হাত সামনে দিয়ে বেধে ফেলে। পরে বাড়ি সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে আমার বাসার চাবির ছড়া নিয়ে আমার রুমের আলমারি লক চাবি ও তাদের সাথে থাকা শাবল দ্বারা আলামারির লক ভেঙ্গে ড্রয়ারে থাকা জমি কেনার নগদ ২০ লাখ টাকা ও একই আলমারিতে থাকা আমার মায়ের ব্যবহারকৃত সাড়ে তিন ভড়ি ওজনের একটি গলার সীতাহার, ৩ ভড়ি ওজনের তিনটি গলার চেইন, ৩ ভড়ি ওজনের এক জোড়া হাতের বালা, আটা ওজনের কানের দুলসহ ১০ ভড়ি স্বর্ণালংকার ও একই ফ্লোরে পশ্চিম উত্তর কোনে অবস্থিত আমার মায়ের রুমের আমার লাগেজ খুলে ২ হাজার ৫’শ পাউন্ড , ৫’শ ইউরো এবং ৫’শ ডলার সহ ৩১ লাখ টাকা মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর ছিদ্দিক জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ডাকাতির ঘটনার সংবাদ পেয়ে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে। ঘটনাস্থল থেকে ১টি স্কু ড্রাইভার, ১টি ধারালো দা ও ১টি লোহার শাবল জব্দ করা হয়েছে। লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।