বন্দরে চাঞ্চল্যকর জুয়েল হত্যা মামলার বাদীর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে আসামী পক্ষের লোকজনরা। ঐ সময় আসামী পক্ষের লোকজনেরা সোহেল মেম্বারের বসত ঘরসহ কমপক্ষে ৪টি ঘর ব্যাপক ভাংচুর করে লুটপাট চালিয়েছে সন্ত্রাসী আলিম, সেলিম ও ডালিম গংরা। ঐ সময় হামলাকারিদের বাঁধা দিতে গিয়ে শিপন (২৫), রিনা বেগম (৩৫) ও ফয়সাল (২৫) মারাত্মক ভাবে আহত হয়। আহতদের মধ্যে দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হলেও অপর আহত শিপনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে প্রেরণ করেছে এলাকাবাসী। ঐ সময় হামলাকারি আলিম, সেলিম ও ডালিম গংরা সোহেল মেম্বারের বাড়িসহ এর আশে পাশের বেশ কয়েকটি স্থানে চকলেট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঘোটা এলাকা আতংক বিরাজ করেছে।
সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল (খ)শেখ বিল্লাল হোসেন ও বন্দর থানা অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহাসহ সঙ্গীয় ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে পুলিশ ৩ হামলাকারিকে আটক করেছে। সেই সাথে পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত একটি সাউন্ড বোমা উদ্ধার করেছে।
আটককৃত হামলাকারিরা হলো বন্দর উপজেলার উত্তর চাঁনপুর এলাকার আফজাল মিয়ার ছেলে নাঈম (১৮) কাইনালীভিটা এলাকার আবুল বাশার মিয়ার ছেলে আমির হোসেন (৩৩) ও নাটর জেলার সদর থানার চক বেদনা এলাকার মোস্তফা আলী মিয়ার ছেলে বিজয় (২০)। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের আন্দিরপাড়স্থ হেদায়েতপাড়া এলাকায় এ সংর্ষের ঘটনা ঘটে।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বন্দর উপজেলার আন্দিরপাড়স্থ হেদায়েতপাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় জুয়েল নিহত হয়। এ ঘটনায় বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হলে এ মামলার বেশ কয়েকজন আসামী জামিনে বের হয়। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে জুয়েল হত্যা মামলার আসামী আন্দিরপাড় এলাকার তোতা মিয়ার ৩ ছেলে সন্ত্রাসী ছেলে আলিম, নাছির, জহিরুল, একই এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে সেলিম সোনা মিয়ার ছেলে ডালিম একই এলাকার আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে আমজাদ ও হাবিবসহ বেশ কয়েকজন আসামী জামিনে বের হয়ে সোমবার সকালে সন্ত্রাসী আলিমের বাড়িতে ভাড়াকৃত ১০০/১৫০ সন্ত্রাসী ও কতিপয় নামধারি সাংবাদিকদের নিয়ে ভুড়ি ভোজের আয়োজন করে আন্দিরপাড় এলাকায় সন্ত্রাসী মহড়া দেয়। ঐ সময় উল্রেীখত সন্ত্রাসীরা সোহেল মেম্বারের বাড়িতে চকলেট বোমা বিস্ফোরন ঘটিয়ে গোটা এলাকা আতংক তৈরি করে সোহেলে মেম্বারের বসত ঘরসহ ৪টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। ঐ সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে মহিলাসহ ৩ জন গুরুতর জখম হয়।
এ ব্যাপারে নিহত জুয়েলের মা গণমাধ্যম কে জানান, আমার এক ছেলেক হত্যা করেছে তাদের মন ভরেনি। হত্যাকারিরা ভাড়াকৃত সন্ত্রাসী এনে ও কিছু নামধারী সাংবাদিক এনে আন্দিরপাড় এলাকায় সন্ত্রাসী মহড়া দেয়। সন্ত্রাসী মহড়া দেওয়ার এক পর্যায়ে উল্লেখিত সন্ত্রাসী আলিম, সেলিম, ডালিমের নেতেৃত্বে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা আমার ছেলে সোহেল, নিহত জুয়েলের বসতঘরসহ ৪টি ঘর ব্যাপক ভাংচুর করে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ১ ভড়ি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা পিপিএম গণমাধ্যমকে জানান, সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি ও আমার স্যার এএসপি শেখ বিল্লাল হোসেন দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির পেয়ে প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের যাচাই বাছাই চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন রাখা হয়েছে।