বন্দরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ইটখোলার মালিক মোতালেব হোসেন(৫০)কে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ফজল করিম (৩৩) নামে এক হামলাকারিকে আটক করে কামতাল পুলিশে সোর্পদ করেছে। গত ৩১ আগষ্ট মঙ্গলবার পৌনে ৯টায় বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের শাঁসনেরবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোতালেব হোসেন বন্দরের শাসনের বাগ এলাকার মৃত আবদুর রাজ্জাক কবিরাজের ছেলে। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী মাকসুদা বেগম বুধবার বিকেলে বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী ইসমাইল ও জনতা কর্তৃক আটককৃত ফজল করিমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২(৯)২১। আটককৃত ফজল করিম শাঁসনেরবাগ এলাকার মৃত জালাল উদ্দিন মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। মামলার বাদিনী মাকসুদা বেগম বুধবার বিকেলে বন্দরে কর্মরত গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, আমার স্বামী আব্দুল মোতালেব মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে ইটখোলার ব্যবসা করে আসছিল। বন্দরে আমাদের এ.কে.বি. এম.বি.বি, থ্রীপল সেভন ও মায়ের দোয়া নামে ৪টি ইটখোলা রয়েছে। বন্দরে শাসনেরবাগ এলাকার জলিল ওরফে জনু মিয়ার ছেলে ইসমাইল ওরফে ইসার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামী আব্দুল মোতালেব হোসেনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। গত মঙ্গলবার এশার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বাড়িতে ফেরার পথে রাত পোণে ৯ টার দিকে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী ইসমাইল ওরফে ইসা, তার ভাই নবী হোসেন ও ফজল করিমসহ ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেঅস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমার স্বামী মোতালেবের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারিরা আমার স্বামীকে বেদম ভাবে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা জখম অবস্থায় আমার স্বামীকে উদ্ধার করে প্রথমে মদনপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ঢামেকে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি (তদন্ত) মোহসিন মিয়া জানান, এ ব্যাপারে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আটককৃতকে জ্ঞিাসাবাদ অব্যহত রেখেছে। সে সাথে হত্যা মামলার াাসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রেখেছে।