বন্দরে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে সুইচ গিয়ার চাকু ও ছিনতাই কাজের ব্যবহারকৃত একটি সিএনজিসহ ৪ ছিনতাইকারিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। আটককৃত ছিনতাইকারিরা হলো বন্দর থানার শাহীমসজিদ এলাকার আল আমিন মিয়ার ছেলে সাজেদুল ইসলাম (২০) একই এলাকার আমির হোসেন বাবুল মিয়ার ছেলে ইসমাইল হোসেন রাব্বী (২১) বন্দর বাসস্ট্যান্ড এলাকার রেজোয়ান (২০) ও কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার রঘুনাথপুর এলাকার কুদ্দুস মিয়ার ছেলে ইকবাল (২১)। গত বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর)রাত সাড়ে ৯টায় বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাগবাড়ি স্ট্যান্ডস্থ পঁচার মাজারের সামনে থেকে উল্লেখিত ছিনতাইকারিদের ধারোলো অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশ সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবক মিরাজ হোসাইন বাদী হয়ে আটককৃত ৪ ছিনতাইকারিকে আসামী করে শুক্রবার সকালে বন্দর থানায় দ্রুত বিচার আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৫(৯)২২ ।
মামলা তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বন্দর থানার দেউলী চৌরাপাড়া এলাকার জহির মিয়ার ছেলে মিরাজ হোসাইন তার বান্ধবী মুন্নি (১৭)কে নিয়ে একই থানার নবীগঞ্জ নোয়াদ্দাস্থ তার মামার বাড়িতে বেড়াতে আসে। বেড়ানোর শেষে ঐ দিন রাত সাড়ে ৯টায় উল্লেখিত প্রেমিক প্রেমিকা রিক্সা যোগে বাড়ি ফেরার পথে ঐ সময় হঠাৎ ছিনতাইকারিদের ব্যবহারকৃত নারায়ণগঞ্জ থ ১১-৫৬৫৪ নাম্বারে একটি সিএনজি যাত্রীবাহী রিক্সাটি গতিরোধ করে। পরে ছিনতাইকারিরা প্রেমিক/প্রেমিকাকে বেদম ভাবে মারধর করে ধারালো সুইচ গিয়ার বের করে হত্যার ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ঐ সময় আহত প্রেমিক/প্রেমিকার ডাকচিৎকার শুনে এলাকাবাসী দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ধারালো সুইচ গিয়ার চাকু ও ছিনতাই কাজের ব্যবহারকৃত সিএনজিসহ ৪ ছিনতাইকারিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক শওকত আলী গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেপ্তাকৃতরা মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কের বিভিন্ন নির্জন এলাকায় র্দীঘ দিন ধরে ছিনতাই করে আসছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে নবীগঞ্জ বাগবাড়ী স্ট্যান্ডের সামনে ছিনতাই করার সময় স্থানীয় জনতা ধারালো অস্ত্রসহ ৪ ছিনতাইকারিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। পরে গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।