বন্দরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা খান মাসুদের অনুসারী চিহিৃত সন্ত্রাসী রাজু ওরফে স্ট্যান্ড রাজু ও আকিব হাসান রাজু ওরফে চুল্যা রাজু বাহিনী মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষে ১৫ জন আহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এ ঘটনায় স্ট্যান্ড রাজুর পক্ষে সানজিদা আক্তার বাদী হয়ে গত সোমবার (১৩ মার্চ) রাতে আকিব হাসান ওরফে চুল্যা রাজু ও আল আমিন ওরফে কালুসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাত নামা ৮/১০ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ৩১(৩)২৩। ধারা- ১৪৩/ ৩৪১/ ৩২৩/ ৩২৫/ ৩২৬/ ৩০৭/ ১১৪/৩৭৯/৩৫৪/৫০৫ পেনাল কোড-১৮৬০। এ ঘটনায় পুলিশ গত সোমবার রাতে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের রোস্তমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত মামলার ৪নং এজাহারভূক্ত আসামী আরিফ (২৮) ও নিশং এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার সন্ধিগ্ধ আসামী লিটন (৩০)কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আরিফ রোস্তমপুর এলাকার হাজী কামাল উদ্দিন মিয়ার ছেলে ও লিটন নিশং এলাকার মৃত আওলাদ হোসেন মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার বালুর চর ছনখোলা এলাকার মামুন মিয়া পেশায় একজন ড্রেজার ও বালু ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী বিরোধের জের ধরে বাদিনী স্বামী ড্রেজার ব্যবসায়ী মামুন সাথে বন্দর থানার চিনারদী এলাকার শাহ আলম মিয়ার ছেলে আকিব হোসেন রাজু, মুখফুলদী এলাকার আব্দুল আলী মিয়ার ছেলে আল আমিন ওরফে কালু, নয়ানগর এলাকার শাহানুর মিয়ার ছেলে শামীম রোস্তমপুর এলাকার হাজী কামাল হোসেন মিয়ার ছেলে আরিফ, একই এলাকার জমির আলী মিয়ার ছেলে হাসান হাজীপুর এলাকার মাহামুদ হোসন মিয়ার ছেলে পাভেল চুনাভূরা এলাকার মৃত আনিছ মিয়ার ছেলে পারভেজ জামাইপাড়া মুসলিম মিয়ার ছেলে মাসুদ ওরফে ছোট মাসুদ ও বন্দর লেজারার্স এলাকার শামীমসহ অজ্ঞাত নামা ৮/১০ জনের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে পূর্ব শত্রুতা চলছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (১৩ র্মাচ) দুপুর ১২টায় বাদিনী স্বামী মামুন ও তার স্ত্রী সানজিদা আক্তার ব্যবসায়ী কাজে বাসা হইতে কল্যান্দী উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে মুখফুলদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আসলে ওই সময় আকিব হাসান রাজু নেতৃত্বে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারী ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। ওই সময় ৭নং বিবাদীর হুকুমে হামলাকারি ১নং আসামী আকিব হোসেন রাজু ওরফে চুল্যা রাজু ও ৪নং আসামী আরফি আমার স্বামী সাথে থাকা ড্রেজার শ্রমিক ও বালু বহনকারি ব্লাকহেডের বিল পরিশোধের ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ২ ভড়ি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও ৫ ভড়ি ওজনের রুপার বেসলেট নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই সময় বাদিনী তার স্বামীকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসলে হামলাকারিরা বাদিনীকে শ্লীতাহানী করে। বাদিনী ডাক চিৎকার শুনে এলাকাবাসী দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আহত ড্রজার ব্যবসায়ী মামুনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জানান, বন্দরে দুই গ্রেুপের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।