অপরিকল্পিত ভাবে কৃষি জমিজমা ভরাট হওয়ার কারনে একের পর এক বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। এমন অভিযোগ তুলেছে সচেতন মহল।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো জানান, বন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রভাবশালী মহল অর্থ ও শক্তির জোরে বন্দর উপজেলার দোপা খালের বিল, বুরুন্দী বিল, মহনপুর বিল, হাজীপুর বিল, নবীগঞ্জ বাগবাড়ী বিল, দাঁশেরগাও বিলসহ এর আশে পাশের অধিকাংশ ফসলি জমি নিরীহ কৃষকদের কাছ থেকে নাম মাত্র মূল্য দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে। পরে ক্রয়কৃত ফসলি জমিতে রাতারাতি বালু দিয়ে ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রির মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উল্লেখিত এলাকার অধিকাংশ বিলে নতুন নতুন ঘরবাড়ী উঠতে দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়াও দাঁশেরগাও ফসলি বিল জুড়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি ইট ভাটা। এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানিয়েছে, ইটভাটা মালিকরা সাধারন কৃষকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে হাতিয়ে নেয় তাদের ফসলি জমি। পরে উক্ত জমিতে ফসল না ফলিয়ে মাটি পুড়িয়ে ইট তৈরি করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে চুন্নু ফারুক নামে এক কৃষক জানান, ফসলি জমিজমার উপর বসতি ঘরবাড়ী গড়ে উঠার কারনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। ফসলি জমি বিলিন হওয়ার কারনে ফসলের আবাদ কমে যাচ্ছে উল্লেখিত এলাকায়। এক সময়ে উল্লেখিত বিলের আবাদি ফসল দিয়ে বন্দরসহ শহরের চাহিদাও পুরন হতো। এই চাহিদা এখন আর পুরন করা সম্ভব নয়।
এ ছাড়াও মুছাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ইউনুস জানান, দাঁশেরগাও বিল এখন ইটভাটার দখলে। এখানে শাক সবজি উৎপাদনের পরিবর্তে মাটি পুড়ে উৎপন্ন করা হচ্ছে ইট। এতে করে দাঁশেরগাও সহ এর আশেপাশের এলাকার পরিবেশ মারাত্মক ভাবে নষ্ট হচ্ছে। এ দূর অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী কৃষকগন সহ সচেতন মহল।