1. meghlatv24@gmail.com : bbcpresss :
  2. jahirulislam.siraj@gmail.com : Jahirul Siraj : Jahirul Siraj
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রূপগঞ্জে মামলা তুলে না নেয়ায় বাদীর বাড়ীঘরে হামলা, ভাংচুর, আগুন ১ জনকে কুপিয়ে জখম প্রধান অতিথি শিল্পপতি মো. আলী হোসেন আলী সাদীপুর ইসলামিয়া সিনিয়র আলীম মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদকে সম্বর্ধনা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা-গাউছিয়া ফের হকারদের দখলে  ইপিজেড থানার অভিযানে ৫ বছরের সাজা আসামি গ্রেফতার সাংবাদিক জুয়েল খন্দকারের বিরুদ্ধে কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত শেষ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে একাডেমির সিনিয়র টিম ৩-১গোলে জিতেছে শেষ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে একাডেমির সিনিয়র টিম ৩-১গোলে জিতেছে ক্রীড়া ডেস্ক: শনিবার বিকেলে দক্ষিণ হালিশহর ৩৯নং ওয়ার্ডের সিডিএ বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে দক্ষিণ হালিশহর ফুটবল একাডেমির শেষ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে সিনিয়র টিম ৩-১ গোলে অনুর্ধ্ব -১৫টিম কে পরাজিত করে। প্রথমে জুনিয়র টিমের মোঃ আলী হেড দিয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। শেষ ১০ মিনিটে সিনিয়র টিমের আমির, আরাফাত ও রাহুল গোল করে দলকে জিতিয়ে দিলেন। খেলার শুরুতে উভয় টিমের সাথে পরিচয় বিনিময় করেন একাডেমির পরিচালক ও উপদেষ্টা ডা, উদয়ন কান্তি মিত্র, মানবাধিকার সংগঠক ও পরিচালক মোঃখলিলুর রহমান হাওলাদার, সাবেক ফুটবলার ও উপদেষ্টা কোচ মোঃ আলাউদ্দিন, টিম ম্যানেজার ও পরিচালক মুহাম্মদ বাবুল হোসেন বাবলা। ম্যাচ পরিচালনা করেছেন ফুটবলার মোঃ ওমর ফারুক, সহকারী ছিলেন নিরব হোসেন ও এনামুল হক। উল্লেখ্য যে, উক্ত একাডেমি শীঘ্রই বাফুফের নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক ও উপ কমিটির সভাপতি মোঃ নূরুল আমিন সোহেল। পতেঙ্গায় জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (ক.) ট্রাস্টের উদ্যোগে বিনামূল্যে খতনা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ৬ অপহরণকারী আটক  হালিশহরে “কেয়া বৃত্তি শিক্ষায় সৃজনশীলতা ও মেধা বিকাশে সহায়ক”

পবিত্র কোরআনে মাছ প্রসঙ্গ

মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
  • সময়ঃ সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১

মাছ একটি জলজ মেরুদণ্ডী প্রাণী, যা জোড়-বিজোড় পাখনার সাহায্যে সাঁতার কাটে এবং ফুলকার মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়। সাধারণত মাছ দেহের বহির্ভাগ আঁশ দ্বারা আচ্ছাদিত থাকে। তবে আঁশবিহীন মাছের সংখ্যাও কম নয়। সাগরের লোনা ও মিষ্ট পানি, সাধু পানির খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, নদী, হ্রদ, পুকুর, ডোবা—যেখানেই পানি আছে, সেখানেই মাছের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র মাছ মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তিনিই (আল্লাহ) সাগরকে (তোমাদের) অধীন করেছেন, যাতে তোমরা তা থেকে তাজা গোশত আহার করতে পারো এবং যাতে তা থেকে রত্নাবলি আহরণ করতে পারো, যা তোমরা অলংকাররূপে পরিধান করো। তোমরা দেখতে পাও সমুদ্রের বুক চিরে জলযান চলাচল করে। এটা এ জন্য যে যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পারো এবং তোমরা যেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১৪)

স্থলভূমিতে পশুপালনের জন্য মানুষকে অনেক কষ্ট করতে হয়। কিন্তু সাগরে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জাতের মাছের ব্যবস্থা করেছেন। মাছ খাদ্য হিসেবে যেমন উত্কৃষ্ট, তেমনি সহজলভ্য। মহান আল্লাহর তাঁর কুদরতের নিদর্শন বর্ণনা করতে গিয়ে সাগর ও মাছের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘দুই সাগর এক ধরনের নয়। একটির পানি সুমিষ্ট ও সুপেয়। অন্যটির পানি লোনা ও খর। প্রত্যেকটি থেকে তোমরা তাজা গোশত আহার করো…।’ (সুরা ফাতির, আয়াত : ১২)

উল্লিখিত আয়াতে ‘তাজা মাছ’ বোঝাতে ‘টাটকা গোশত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ইঙ্গিত করা হয়েছে, অন্যান্য হালাল জীবের মতো মাছকে জবাই করা জরুরি নয়। এ যেন আপনাআপনি তৈরি গোশত! এ ছাড়া হাদিসে মৃত মাছ খাওয়াও বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। মানব জীবনে মাছের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে ইহরাম অবস্থায়ও মাছ শিকারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মাছ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে একাধিক আয়াত আছে। মাছ শিকার করা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমাদের জন্য সাগরের শিকার ও তা খাওয়া হালাল করা হয়েছে—তোমাদের ও পর্যটকদের ভোগের জন্য…।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৯৬)

আয়াতগুলোর বাচনভঙ্গি থেকে বোঝা যায়, মানুষের কল্যাণে মাছ শিকারের প্রচলিত পদ্ধতি যেমন—আঁকড়া, কোঁচ, বড়শি, জাল ইত্যাদির মাধ্যমে মাছ ধরা হালাল করে দেওয়া হয়েছে।

মাছ ও জলজ প্রাণীর বিধানে এমন নমনীয়তা প্রদর্শন সত্যিই আল্লাহর বিশেষ করুণা ও অনুগ্রহের পরিচায়ক। সুতরাং এ নিয়ামতের যথাযথ ব্যবহার ও শুকরিয়া আদায় করাও বান্দার অপরিহার্য কর্তব্য। তাই যেকোনো উপায়ে মাছের বংশ নির্মূল করা, নিষিদ্ধ সময়ে মাছ শিকার করা, শত্রুতাবশত কারো পুকুরে বিষাক্ত দ্রব্য মিশ্রিত করা গর্হিত অপরাধ। কেননা নিয়ামতের অকৃতজ্ঞতা ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার নিয়ামত ছিনিয়ে নেওয়ার অন্যতম কারণ।

মাছের নিষিদ্ধ ব্যবহারের কারণে অতীতে পৃথিবীতে আসমানি আজাব নেমে এসেছে। এবং সূত্র ধরে কিছু মানুষকে বানরে পরিণত করা হয়েছে। বনি ইসরাঈলের জন্য শনিবার ইবাদত করার জন্য নির্দিষ্ট ছিল। ওই দিন পার্থিব কাজকর্ম নিষিদ্ধ ছিল। লোহিত সাগরের উপকূলবর্তী ঈলাত নামক স্থানে অধিবাসীরা এই দিনে মৎস্য শিকার করে আল্লাহর আদেশ লঙ্ঘন করেছিল। আল্লাহ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেন। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা শনিবার সম্পর্কে সীমা লঙ্ঘন করেছিল, তোমরা তাদের নিশ্চিতভাবে জানো। আমি (আল্লাহ) তাদের (আজাবের আদেশ দিয়ে) বলেছিলাম, তোমরা ঘৃণিত বানর হয়ে যাও। আমি তা তাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্তস্বরূপ ও মুত্তাকিদের জন্য উপদেশস্বরূপ করেছি।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৬৫-৬৬)

মহান আল্লাহ মাছের মাধ্যমে দুজন নবীকে পরীক্ষা করেছেন। একজন ইউনুস (আ.), অন্যজন মুসা (আ.)। ইউনুস (আ.)-এর সম্প্রদায় হিদায়াত গ্রহণ না করায় তিনি রাগান্বিত হয়ে দেশ ত্যাগ করেন। যাওয়ার সময় তিনি তাদের সতর্ক করেন যে তিন দিনের মধ্যে আজাব আসবে। কিন্তু দেশ ত্যাগের জন্য আল্লাহর অনুমতি নেননি। তাই মহান আল্লাহ তাঁকে মাছের খাবার বানিয়ে শাস্তি দেন। তাঁকে সাগরে নিক্ষেপ করা হয়। অতঃপর বড় একটি মাছ তাঁকে গিলে ফেলে। পরে তিনি আল্লাহর শরণাপন্ন হন। মহান আল্লাহ তাঁকে মাছের পেট থেকে উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর স্মরণ করো জুন-নুন [মাছের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ইউনুস (আ.)]-এর কথা। যখন সে ক্রোধভরে বের হয়ে গিয়েছিল এবং মনে করেছিল যে আমি তার জন্য শাস্তি নির্ধারণ করব না। অতঃপর সে অন্ধকার থেকে আহ্বান করেছিল, তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তুমি পবিত্র, মহান! আমি তো সীমা লঙ্ঘনকারী। তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম এবং তাকে উদ্ধার করেছিলাম দুশ্চিন্তা থেকে। আর এভাবেই আমি মুমিনদের উদ্ধার করি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৮৭-৮৮)

মাছ দিয়ে পরীক্ষা করা হয় মুসা (আ.)-কে। মহান আল্লাহ মুসা (আ.)-কে বিশেষ জ্ঞান দান করার জন্য খিজির (আ.)-এর কাছে পাঠিয়েছেন। তিনি মুসা (আ.)-কে জানিয়ে দিয়েছেন যে দুই সাগরের মিলনস্থলে খিজির (আ.)-এর সাক্ষাৎ পাওয়া যাবে। আর এ ক্ষেত্রে সঠিক পথ খুঁজে পাওয়ার জন্য একটি ভুনা করা মাছ সঙ্গে নিতে বলা হয়েছিল। বলে দেওয়া হয়েছিল, ক্ষুধা পেলে এই মাছ থেকে কিছু অংশ খাওয়া যাবে। আবার আল্লাহর নির্দেশে এই মাছ এক জায়গায় গিয়ে জীবিত হয়ে যাবে! অতঃপর তা স্রোত সৃষ্টি করে চলে যাবে! ওই জায়গায় খিজির (আ.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে। মুসা (আ.) তাঁর সঙ্গী ইউশা ইবনে নুনকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। সাগরের তীরে পৌঁছার পর মুসা (আ.) একটি পাথরের বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় তাঁর সঙ্গী ইউশা দেখেন যে মাছটি চলতে শুরু করেছে ও সাগরে ঝাঁপ দিয়েছে। কিন্তু মুসা (আ.) ঘুমিয়ে থাকায় তিনি তাঁকে এ বিষয়টি জানাননি। মুসা (আ.) ঘুম থেকে জাগার পর ইউশা মাছটির ঘটনা তাঁকে বলতে ভুলে যান। ফলে তাঁরা আবার পথ চলতে শুরু করেন। একসময় মুসা (আ.)-এর তীব্র ক্ষুধা পেল। তিনি খাবার চাইলেন। ইউশা বলেন, খাবার তো নেই। মাছটি জীবিত হয়ে চলে গেছে। এ ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—‘অতঃপর যখন তারা উভয়ে দুই সাগরের মিলনস্থলে পৌঁছল, তারা তাদের মাছের কথা ভুলে গেল। আর তা (মাছটি) সুড়ঙ্গের মতো নিজের পথ করে সাগরে নেমে গেল।’ (সুরা : কাহফ, আয়াত : ৬১)

এভাবেই পবিত্র কোরআনে বিভিন্ন প্রসঙ্গে মাছের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। কাজেই মাছ আল্লাহর বিস্ময়কর নিয়ামত। এ নিয়ামতের যথাযথ মূল্যায়ন করা জরুরি। মাছের অন্যায় ব্যবহার আল্লাহর আজাবের কারণ। জনকল্যাণে মৎস্য সম্পদ সুরক্ষায় সরকারি বিধি-নিষেধ মান্য করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য।

সূত্রঃ কালেরকণ্ঠ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এইরকম আরো খবর

শেষ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে একাডেমির সিনিয়র টিম ৩-১গোলে জিতেছে ক্রীড়া ডেস্ক: শনিবার বিকেলে দক্ষিণ হালিশহর ৩৯নং ওয়ার্ডের সিডিএ বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে দক্ষিণ হালিশহর ফুটবল একাডেমির শেষ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে সিনিয়র টিম ৩-১ গোলে অনুর্ধ্ব -১৫টিম কে পরাজিত করে। প্রথমে জুনিয়র টিমের মোঃ আলী হেড দিয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। শেষ ১০ মিনিটে সিনিয়র টিমের আমির, আরাফাত ও রাহুল গোল করে দলকে জিতিয়ে দিলেন। খেলার শুরুতে উভয় টিমের সাথে পরিচয় বিনিময় করেন একাডেমির পরিচালক ও উপদেষ্টা ডা, উদয়ন কান্তি মিত্র, মানবাধিকার সংগঠক ও পরিচালক মোঃখলিলুর রহমান হাওলাদার, সাবেক ফুটবলার ও উপদেষ্টা কোচ মোঃ আলাউদ্দিন, টিম ম্যানেজার ও পরিচালক মুহাম্মদ বাবুল হোসেন বাবলা। ম্যাচ পরিচালনা করেছেন ফুটবলার মোঃ ওমর ফারুক, সহকারী ছিলেন নিরব হোসেন ও এনামুল হক। উল্লেখ্য যে, উক্ত একাডেমি শীঘ্রই বাফুফের নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক ও উপ কমিটির সভাপতি মোঃ নূরুল আমিন সোহেল।

July 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি

শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি

ফতেপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে

পদের নাম: শিক্ষক

বর্ণনা:ফতেপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে ইংলিশ এবং গণিত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা
পদের নাম শিক্ষাগত যোগ্যতা
ইংলিশ শিক্ষক ইংলিশে অনার্স মাস্টার্স হতে হবে।
গণিত শিক্ষক গণিতে অনার্স মাস্টার্স হতে হবে।

ঠিকানা: উলিপুরা সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ

মোবাইল নাম্বার: 01988571098

© ২০২১ | বিবিসি প্রেস © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | bbcpress.com