নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের আর মাত্র ১ মাস ১১ দিন বাকি। আসন্ন র্নিবাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এখন পর্যন্ত তেমন ভাবে প্রচার প্রচারনা না নামলেও সম্বাভ্য কাউন্সিল প্রার্থীরা কিন্তু থেমে নেই। তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডর ব্যাপক প্রচারনাসহ নানা কর্মসূচি অব্যহত রেখেছে। সে সাথে চলছে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের প্রস্তুতি। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসচ্ছে ভোটারদের মাঝে উৎসব আমেজ তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় সম্বাভ্য প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ২২ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায়।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশনের বন্দরের ২২ নং ওয়ার্ডটি একটি গুরুত্বপূর্ন ওয়ার্ড। এটি এক সময় কদম রসুল পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে অন্তঃভূক্ত ছিল। ১৮৭৬ সালে নারায়ণগঞ্জে প্রথম পৌরসভা হয়ে আত্নপ্রকাশ ঘটে ঐতিহ্যবাহী মদনগঞ্জ এলাকা। নাসিক গঠনের মাধ্যমে কদম রসুল পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডটি বিলুপ্ত করে বন্দরের কোটপাড়া, ঠাকুরবাড়ি, কলোনী, স্বল্পের চক, উইলসন রোড, এইচ এম সেন রোড ১ম ও ২য়, এসএম সাহা রোড ১ম ও ৩য় এবং দত্তবাড়ী নিয়ে ২২নং ওয়ার্ড এলাকা গঠিত। এ ওয়ার্ডটি সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত বন্দর অংশের প্রধান ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে জনসংখ্যা হল প্রায় ১ লাখ। এর মধ্যে ভোটার সংখ্যা হল প্রায় ৩০ হাজার। এ ওয়ার্ডেই বন্দরের সবচেয়ে বড় গুদার ঘাট, বন্দর বাজার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বন্দর প্রেস ক্লাব, বন্দর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বন্দর ফায়ার সার্ভিস, বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি, বদ্ধ ভূমি, ঐতিহ্যবাহী সিরাজ দৌল্লা ক্লাব, সোরায়াদী ক্লাব, শ্রম কল্যান, ১টি খেলার মাঠ, সনামধণ্য বন্দর বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ এবং বন্দর গালর্স স্কুল এন্ড কলেজসহ ১৪টি মসজিদ ও ৩টি মন্দির রয়েছে। নাসিক গঠনের পর ২২নং ওয়ার্ডে প্রথম কাউন্সিলার পদে নির্বাচনে অংশ নেয় ১৪ জন প্রার্থী ।
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ২১ নং ওয়ার্ডে ৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী র্নিবাচন অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। এরা হলেন, বন্দর উইলসন রো এলাকার মরহুম জাসাল উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা সুলতান আহাম্মেদ ভূইয়া, বন্দর কাজীবাড়ী এলাকার মরহুম আবু বক্কর সিদ্দিক মিয়ার ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা ও কাজী জহিরুল ইসলাম জহির (এম,কম) বন্দর খানবাড়ী এলাকার সামছুদ্দিন খানের ছেলে যুবলীগ নেতা খান মাসুদ, আী আহাম্মদ চুনকা সড়ক এলাকার মরহুম মোকসেদ আলী বেপারী ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও মহানগর জাতীয় পাটির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শাহ আলম ও বন্দর খানাবাড়ী এলাকার মরহুম ইউনুস খানের মেয়ে নারায়নগঞ্জ মহানগর মহিলালীগের নেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি।
র্নিবাচনী এক প্রতিক্রিয়া কউন্সিলর প্রাথী সুলতান আহাম্মেদ ভ’ইয়া গনমাধ্যমকে জানায়, উন্নয়নের ধরক বাহক না থাকে সেখানে কোন দিন উন্নয়ন হবে না। আমি আমার পাশের চেয়ে মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী পাশ জরুরি বলে মনে করছি। আমি আমার ২২ নং ওয়ার্ডবাসীর ভালোবাসায় দুই দুই বার নির্বাচিত হয়ে বন্দর রাজবাড়ী, দত্তবাড়ী, নূরবাগ, ভ’ইয়া বাড়ী, খানবাড়ী, কাজিবাড়ী, দেওয়ন বাড়ী, জামাইপাড়া আমিন, লেজারার্সসহ অনেক এলাকায় প্রায় ১’শ ৪৫ কোটি টাকার উন্নয়ন মূলক কাজ করেছি। আমার উন্নয়ন ২২ নং ওয়ার্ড অব্যহত থাকবে।
২২ নং ওয়র্ড কাউন্সিলর প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কদম রসুল পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক কাজী জহিরুল ইসলাম জহির (এম.কম) গনমাধ্যমকে জানান, আমি জনগনের সেবা করার প্রত্যয় নিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গনসংযোগ চালিয়ে ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমি ২২ নং ওয়ার্ডবাসী দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি।
কাউন্সিলর প্রার্থী যুবলীগ নেতা খান মাসুদ গনমাধ্যমকে জানান, ২২ নং ওয়ার্ডবাসী কাউন্সিলর পরিবর্তন চায়। কাউন্সিলর পরিবর্তনে সরব হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাড়া মহল্লায়। ২২ নং ওয়ার্ডবাসীর দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে আসন্ন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আমি কাউন্সিলর প্রাথী হয়েছি। আমি সব সময়ে মানুষের সেবা করেছি। মানুষের আপদ বিপদে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। বন্দর ২২ নং ওয়ার্ড মুরুব্বীসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লার যুব সমাজ আমার পাশে আছে। আমি সবার দোয়া ও ভোট চাই।
কাউন্সিলর প্রার্থী ও মহানগর জাতীয় পার্টি নেতা মোঃ শাহ আলম গনমাধ্যমকে জানান, আমি সব সময় মানুষের খেদমত করে আসছি। গত সিটি কপোরেশনের নির্বাচন করেছি। গত নির্বাচনে আমি ২২ নং ওয়ার্ডের সাধারন ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পেয়ে প্রচারপরিমান ভোট পেয়েছি। ২২ নং ওয়ার্ডে আমারও একটি বিশাল কর্মী রয়েছে। আমি মনোয়নপত্র সংগ্রহের প্রস্তুত নিচ্ছি। ২২ নং ওয়ার্ড জনগন আমার সথে আছে। এবারের সিটি নির্বাচনে ২২ নং ওয়ার্ডে চমক দেখানোর আশা প্রকাশ করছি। অপর কাউন্সিলর প্রার্থী মহানগর মহিলা আওয়মীলীগের নেত্রী ইশরাত জাহান খান স্মৃতির সাথে যোগাযোগ চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।