1. meghlatv24@gmail.com : bbcpresss :
  2. jahirulislam.siraj@gmail.com : Jahirul Siraj : Jahirul Siraj
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সোনারগাঁয়ে লোক ও কারু শিল্প ফাউন্ডেশনে বাঙালির ভাটিয়ালী গান নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত সিডিএ’র নতুন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা হবিগঞ্জে অস্বাস্থ্যকর অনিরাপদ ও ফুডগ্রেডবিহীন ড্রামের ভোজ্যতেল ব্যবহারের প্রতিবাদে মানববন্ধন পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা: থানা ও গোয়েন্দা বিভাগ কে যৌথ কাজ করার পরামর্শ হবিগঞ্জ তৃষ্ণার্ত জন সাধারনের মাঝে ফ্রি শরবত খাওয়ানো হয় হামেশা গ্রুপের কান্ড !কৃষি জমি থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, ইউএনও বরাবর অভিযোগ ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামস্থ বাগেরহাট কল্যাণ সোসাইটি’র ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠিত পরিবহন সেক্টরে অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য এবং যাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে ইশতিয়াক উদ্দিন জারজিস

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
  • সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩

মেহেদী হাসান প্রান্তঃ

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিন।
বন্দর উপজেলা অাওয়ামীলীগে’র সদস্য এবং কলাগাছিয়া ইউনিয়ন অাওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ইশতিয়াক উদ্দিন জারজিস
বলেন, স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবেও পালন করা হয়। বাংলার রাখাল রাজা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের নিভৃত গ্রাম টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেওয়া শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথ পেরিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তিসংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎসও হয়ে ওঠেন তিনি। প্রায় দুইশ’ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ থেকে স্বাধীনতার জন্য উত্তাল ভারতের অগ্নিগর্ভে জন্ম নেন শেখ মুজিব। পরাধীন ভারতে জন্ম নেওয়া শেখ মুজিব শৈশব থেকেই জমিদার, তালুকদার ও মহাজনদের অত্যাচার, শোষণ ও নির্যাতন দেখেছেন। মানুষের দুঃখ, কষ্ট দেখে তাদের মুক্তির সংগ্রামে ছাত্রজীবন থেকেই তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন।
ব্রিটিশ শাসন-শোষণের হাত থেকে ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ মুক্ত হলেও বাঙালির ওপর জেঁকে বসে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ, নিপীড়ন-নির্যাতন। ভ্রান্ত দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্র শুরু থেকেই বাঙালির ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাতে থাকে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তখন থেকেই প্রতিবাদী হয়ে ওঠে বাঙালি। ছাত্রজীবন থেকেই বাঙালির মুক্তির আন্দোলনে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করে। ধারাবাহিক পথ পেরিয়ে শেখ মুজিব বাঙালিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। একাত্তরের ৭ মার্চ তিনি ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়াতে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, তোমাদের যার কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়েই প্রস্তুত থাক, আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো…’। বঙ্গবন্ধুর এই চূড়ান্ত নির্দেশই জাতিকে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে শক্তি ও সাহস জোগায়। চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সায়রা খাতুনের তৃতীয় সন্তান। ৭ বছর বয়সে তিনি পার্শ্ববর্তী গিমাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে তিনি মাদারীপুর ইসলামিয়া হাইস্কুল, গোপালগঞ্জ সরকারি পাইলট স্কুল ও পরে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে লেখাপড়া করেন। ১৯৪২ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতার বিখ্যাত ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন তিনি এবং এই কলেজের বেকার হোস্টেলে আবাসন গ্রহণ করেন। ১৯৪৬ সালে শেখ মুজিব বিএ পাস করেন। তিনি ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই সময়ে তিনি হোসেন সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিমের মতো নেতাদের সংস্পর্শে আসেন। ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় শান্তি স্থাপনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অসম সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর তিনি পূর্ব বাংলায় চলে আসেন। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন শেখ মুজিব। ভ্রান্ত দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্না উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দিলে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্রসমাজ তথা বাঙালি জাতি প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর নেমে আসে জেল-জুলুম নির্যাতন।

রাজনৈতিক জীবনে এক যুগেরও অধিককাল তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। দুইবার তিনি ফাঁসির কাষ্ঠে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন, ১৮ বার কারাবরণ করেছেন। পাকিস্তাানি শাসক চক্রের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে সকল আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি করেছেন। ’৫২, ’৫৪, ’৬২, ’৬৬- এর আন্দোলন আর ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ’৭০-এর নির্বাচনে বিজয় সবই জাতির সংগ্রামী ইতিহাসের একেকটি মাইলফলক। আর এই সংগ্রামের নেতৃত্ব ও বলিষ্ঠ ভূমিকায় ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ৬৯- এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কারাগার থেকে মুক্তির পর তিনি বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন।

স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় লাভের পর পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি লাভ করে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ ভূমিতে ফিরে আসেন। তিনি বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি অর্থাৎ দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় মানবতার শত্রু, স্বাধীনতা বিরোধী, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ঘাতক চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে ইশতিয়াক উদ্দিন জারজিস

মেহেদী হাসান প্রান্তঃ
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিন।
বন্দর উপজেলা অাওয়ামীলীগে’র সদস্য এবং কলাগাছিয়া ইউনিয়ন অাওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ইশতিয়াক উদ্দিন জারজিস
বলেন, স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবেও পালন করা হয়। বাংলার রাখাল রাজা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের নিভৃত গ্রাম টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেওয়া শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথ পেরিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তিসংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎসও হয়ে ওঠেন তিনি। প্রায় দুইশ’ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ থেকে স্বাধীনতার জন্য উত্তাল ভারতের অগ্নিগর্ভে জন্ম নেন শেখ মুজিব। পরাধীন ভারতে জন্ম নেওয়া শেখ মুজিব শৈশব থেকেই জমিদার, তালুকদার ও মহাজনদের অত্যাচার, শোষণ ও নির্যাতন দেখেছেন। মানুষের দুঃখ, কষ্ট দেখে তাদের মুক্তির সংগ্রামে ছাত্রজীবন থেকেই তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন।
ব্রিটিশ শাসন-শোষণের হাত থেকে ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ মুক্ত হলেও বাঙালির ওপর জেঁকে বসে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ, নিপীড়ন-নির্যাতন। ভ্রান্ত দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্র শুরু থেকেই বাঙালির ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাতে থাকে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তখন থেকেই প্রতিবাদী হয়ে ওঠে বাঙালি। ছাত্রজীবন থেকেই বাঙালির মুক্তির আন্দোলনে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করে। ধারাবাহিক পথ পেরিয়ে শেখ মুজিব বাঙালিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। একাত্তরের ৭ মার্চ তিনি ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়াতে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, তোমাদের যার কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়েই প্রস্তুত থাক, আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো…’। বঙ্গবন্ধুর এই চূড়ান্ত নির্দেশই জাতিকে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে শক্তি ও সাহস জোগায়। চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সায়রা খাতুনের তৃতীয় সন্তান। ৭ বছর বয়সে তিনি পার্শ্ববর্তী গিমাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে তিনি মাদারীপুর ইসলামিয়া হাইস্কুল, গোপালগঞ্জ সরকারি পাইলট স্কুল ও পরে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে লেখাপড়া করেন। ১৯৪২ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতার বিখ্যাত ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন তিনি এবং এই কলেজের বেকার হোস্টেলে আবাসন গ্রহণ করেন। ১৯৪৬ সালে শেখ মুজিব বিএ পাস করেন। তিনি ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই সময়ে তিনি হোসেন সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিমের মতো নেতাদের সংস্পর্শে আসেন। ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় শান্তি স্থাপনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অসম সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর তিনি পূর্ব বাংলায় চলে আসেন। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন শেখ মুজিব। ভ্রান্ত দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্না উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দিলে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্রসমাজ তথা বাঙালি জাতি প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর নেমে আসে জেল-জুলুম নির্যাতন।

রাজনৈতিক জীবনে এক যুগেরও অধিককাল তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। দুইবার তিনি ফাঁসির কাষ্ঠে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন, ১৮ বার কারাবরণ করেছেন। পাকিস্তাানি শাসক চক্রের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে সকল আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি করেছেন। ’৫২, ’৫৪, ’৬২, ’৬৬- এর আন্দোলন আর ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ’৭০-এর নির্বাচনে বিজয় সবই জাতির সংগ্রামী ইতিহাসের একেকটি মাইলফলক। আর এই সংগ্রামের নেতৃত্ব ও বলিষ্ঠ ভূমিকায় ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ৬৯- এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কারাগার থেকে মুক্তির পর তিনি বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন।

স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় লাভের পর পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি লাভ করে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ ভূমিতে ফিরে আসেন। তিনি বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি অর্থাৎ দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় মানবতার শত্রু, স্বাধীনতা বিরোধী, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ঘাতক চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এইরকম আরো খবর
April 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি

শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি

ফতেপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে

পদের নাম: শিক্ষক

বর্ণনা:ফতেপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে ইংলিশ এবং গণিত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা
পদের নাম শিক্ষাগত যোগ্যতা
ইংলিশ শিক্ষক ইংলিশে অনার্স মাস্টার্স হতে হবে।
গণিত শিক্ষক গণিতে অনার্স মাস্টার্স হতে হবে।

ঠিকানা: উলিপুরা সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ

মোবাইল নাম্বার: 01988571098

© ২০২১ | বিবিসি প্রেস © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | bbcpress.com