বন্দরে কুশিয়ারা এলাকায় একটি মুরগী ফার্মে দুঃসাহসিক চুরি ঘটনার ২৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে বন্দর থানায় চুরি মামলা দায়ের হয়েছে। গত ১৪ মে শনিবার রাতে ফার্ম মালিক সাদমান ওরফে সাবাব খান বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ চুরি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ২২(৫)২২ ধারা- ৪৫৭/ ৩৮০/ ৩৭৯/ ৫০৬। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল রাতে বন্দর উপজেলার কুশিয়ারাস্থ নূরপুর এলাকায় উল্লেখিত ফার্মে ওই চুরি ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা দায়েরের ওই রাতে বন্দর ছালেহনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরি মামলার ১নং আসামী বাচ্চু (২৭)কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত চোর বাচ্চু মিয়া ছালেহনগর এলাকার ইদ্রিস আলী মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল বারেক হাওলাদার গনমাধ্যমকে জানান, ঢাকা ওয়ারি এলাকার গোলাম সারোয়ার খানের ছেলে সাদমান ওরফে সাবাব খান বন্দরে কুশিয়ারা নূরপুর এলাকায় একটি মুরগী ফার্ম দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। গত ১৯ এপ্রিল রাতে বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ড ছালেহনগর এলাকার ইদ্রিস আলী মিয়ার ছেলে বাচ্চুসহ আরো ৫ জন চোর কৌশলে মুরগী র্ফামে ভিতরে প্রবেশ করে ফ্যান, ফ্রিজ, পানির পাম্পসহ অন্যান জিনিসপত্র চুরি করে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ খামার মালিক বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের ওই রাতে আমিসহ সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছলেহনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরি মামলার ১নং এজারভ’ক্ত আসামী বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। সে সাথে বাকি চোরকে গ্রেপ্তারসহ চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতকে রোববার সকালে চুরি মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।