রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি,মোঃআবু কাওছার মিঠু
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বজলুকে (১৯ নভেম্বর) শনিবার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মোঃ তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র, জাল টাকা ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গত ১৮ নভেম্বর বজলুর রহমান বজলুকে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকা থেকে র্যাব-১ এর সদস্যরা গ্রেফতার করে। এসময় তার আস্তানা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, ২২০ গ্রাম হেরোইন, একটি মোবাইল সেট, ভারতীয় জাল রুপি, বাংলাদেশী ৭৫ হাজার টাকার জাল নোট এবং মাদক বিক্রির ২১ হাজার ৫শ’ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর চনপাড়ায় অভিযানে র্যাব সদস্যদের উপর হামলা ও হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী বজলুর রহমান। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, বজলু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। দুধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদককারবারি। তিনি চনপাড়ার মাদক কারবারের হোতা, নিয়ন্ত্রক। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে ১০টি মামলা পাওয়া গেছে।
এদিকে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ জাহেদ আলী বলেন, চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ৯০ ভাগ ভোট পেয়ে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। এ জয়ের পিছনে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, রাসেল নগর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বজলুর রহমান অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। সে কারণে আওয়ামীলীগের বিরোধীরা বিভিন্ন সময় হত্যা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনসহ বিভিন্ন মামলায় বজলুর রহমানকে আসামী করে। তাই বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে এত মামলা রয়েছে। এছাড়া মামলার আসামী করা হলেই আদালতের রায়ের পূর্বে কাউকেই অপরাধী হিসেবে বলা উচিৎ নয়। তবে র্যাবের সদস্যদের উপর হামলাসহ র্যাবের দায়েরকৃত চারটি মামলা সুষ্ঠু তদন্ত করা প্রয়োজন।