বিশেষ প্রতিবেদন::১৩সেপ্টেম্বর
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলা দক্ষিণ ইদুলপুরের ৮ নং ওয়ার্ডের ভূমিহীন বীর মুক্তিযোদ্ধা ১-১-১৯৪৬ইং জম্ম গ্রহণের পরে দেশ স্বাধীন হবার ৫০ বছর পরও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে চিহিৃদ হয়নি কবরস্থানটি ।গত বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম বাদশা মিয়া৪-১-১৯৯২ইং মৃত্যুর বহু বছর হলেও বিএনপি-বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারও রাষ্ট্রিয় মর্যাদা দেয়নি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম বাদশা মিয়ারছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম কে।
বর্তমান সময়ে মুক্তিযোদ্ধার বিষয়ক মন্ত্রী,সীতাকুণ্ড ৪আসনের সংসদ সদস্য এম পি,শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান সিরাজ , জাতীয় শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক-কে এম আযম খসরু,উপজেলার চেয়ারম্যান,, সালাউদ্দিন আজিজ,সলিমপুর ইউপির সদস্য মোঃ ইউছুপ এবং জেলা প্রশাসক-চট্টগ্রামের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কার্যল্যায়ে কাগজপত্র দিয়ে অজস্র সুপারিশ করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসেবে ভূমিহীন ,সর্বহারা হয়ে পথে পথে ঘুরছেন।
সর্বশেষ গত২২- ৪ – ২২ ইং মুক্তিযোদ্ধার ভাতা নিয়ে হয়রানি না করার জন্য সেই কাগজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে জমা দিলেও এর সত্যিকার কোন প্রতিকার বা সঠিক সমাধা পাননি বলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম বাদশা মিয়ার সন্তান নজরুল ইসলাম সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রির কাছে অভিযোগ পাঠিয়েছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম বাদশা মিয়ার স্ত্রী নুর জাহান বেগমের ছেলে নমিনি হিসাবে মোঃ নজরুল ইসলামের নামে কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করে, সমাজ সেবা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সহ যাচাই বাছাই করে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা প্রাপ্ত ব্যক্তি হন। সেই আলোকে বাদশা মিয়ার স্ত্রী নুর জাহান বেগম গত ২৫-৪-২০২০ইং মৃত্যু বরন করলেএম আই এস কোর্ড অনুযায়ীএকক ভাবে সরকার ঘোষিত মুক্তিযোদ্ধার ভাতা উত্তোলন করেন।
কিন্তু হঠাৎ তার দুই বোন নূর নাহার,শাহিনুর সীতাকুণ্ড সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সাথে এক লক্ষ টাকা ঘুষ লেনদেন করে দুই বোনের নাম দিয়ে জালিয়াতি করে ১-৭-২২ ইং তারিখ থেকে ভূমিহীন-মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ নজরুল ইসলামের মুক্তিযোদ্ধার ভাতা উত্তোলন চরম হয়রানি করছেন।
এছাড়া মোটা অংকের টাকা বিনিময় করে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা ও এক কর্মচারী মিলে দুই বোনের নাম দিয়ে ভাতা উত্তোলন করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূমিহীন-মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ নজরুল ইসলাম নামে এক যুবক।
তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, তার দুই বোন নূর নাহার,শাহিনুর এবং নূর নাহারের স্বামী শহিদুল ইসলাম মিলে তার নামে নগরীর ৩/৫টি থানায় মিথ্যা মামলা ওজিডি –অভিযোগ দিয়ে তাকে ওপরিবার কে চরম বিপদগ্রস্খ করছেন। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে তিনি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিশেষ আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যম কে জানান। তবে অভিযুক্ত দুই বোনের কোন মতামত বা সংবাদ ভাষ্য পাওয়া যাই নি।