ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর তান্ডবে বন্দরে বিভিন্ন এলাকায় লন্ডভন্ড হয়েছে। এ ঝড়ে প্রভাবের কারনে বন্দরবাসীর জীবন যাত্রা মারাত্মক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে । গত ২ দিনের প্রচুর বর্ষন ও প্রচন্ড ঝড় বাতাসের কারনে বন্দরে বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ী, বড় বড় গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ বিভিন্ন স্থাপনা উপড়ে পরেছে। এ ছাড়াও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে বন্দর উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় আবারও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে নিচু এলাকার রাস্তাঘাট ও ঘর বাড়ী পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক স্থানে আবারও নতুন করে বাঁশের সাঁকো বাধঁতে শুরু করে দিয়েছে উক্ত এলাকার জন সাধারন।
এ ব্যাপারে মাহমুদনগর এলাকা জনৈক রিপন জানান, ঘুনিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে মাহমুদনগর এলাকায় একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পরেছে। এ ছাড়াও সোনাকান্দা মেরিন টেকনোলজিতে একটি বিশাল আকৃতি গাছ প্রচন্ড ঝড়েরর কবলে পরে উপরে পরেছে। এ ছাড়াও বন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঘারমোড়া এলাকার বাসিন্দা শ্যামল জানান, ভারি বর্ষনের কারনে বন্দর উপজেলার শুভকরদী, ঘারমোড়া ও চরঘারমোড়াসহ কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার প্রধান রাস্তা ঘাট ও নিচু এলাকার ঘরবাড়িতে প্রচন্ড জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা চরম আকাড় ধারন করেছে। উল্লেখিত এলাকার অনেক মানুষ বর্তমানে পানিবন্ধী জীবন যাপন করছে। সে সাথে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পরেছে। বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পরার কারনে উক্ত এলাকার জনগন চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে। যে কোন সময় প্রানহানীর আশংকা রয়েছে বলে তিনি জানান। এ ছাড়াও এবারের বর্ষায় ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন, মুছাপুর, ধামগড় ও মদনপুরসহ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকার রাস্তা ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।