স্টাফ রিপোর্টার – মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় হোসেন্দী ইউনিয়নে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় নৃশংসতার শিকার আশ্রাব্দী গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সোমবার সকাল ১১ টায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানান, গত ২’রা নভেম্বর হোসেন্দী ইউ.পি. চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী মাহাবুব মিয়া ও তার সশস্ত্র সন্ত্রাসী সমর্থক গোষ্ঠী পরাজয়কে মেনে নিতে পারেনি। নির্বাচনের পর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের বিজয়ী চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল হক মিঠু’র আশ্রাব্দী গ্রামের কর্মী সমর্থকদের উপর একের পর এক হামলা, নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। এই ধারাবাহিকতায় গত ১৮/১২/২০২২ ইং বেলা আনুমানিক ১১:৩০ ঘটিকায় পরাজিত প্রার্থী মাহাবুব মিয়ার সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী শাহপরান, জাহাঙ্গীর, বাবু, রিয়াদ, শাহজালাল শাহ আলী, দীন ইসলাম, শাহজালাল, আক্তার, ইয়ানবী, মোহাম্মদ আলী, রাজিব, জাহিদ, সজিব, মুছা, শাহাদাৎ,সহ আরো দুই শতধিক সশস্ত্র ব্যক্তি পিস্তল, বন্দুক, টেটা, বল্লম, রামদা, চাপাতি সহ অন্যান্য অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা চালায় । সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মিঠু চেয়ারম্যান এর সমর্থকদের ঘর বাড়িতে একে একে ধ্বংসলীলা করে ও লুটপাট চালায় । সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তোতা মেম্বার, রুহুল আমিন, স্বপন, নূর হোসেন, জাহানারা মেম্বার, সাহেদ আলী, জহিরুল, নজরুল, আতাউর, রাজ্জাক, বশির, মোশারফ, আবুজ্জামান, ইসলাম, খোরশেদ, বাবু, নাছির, সাত্তার এর বাসগৃহে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের এই হামলা ১৯৭১ সনে পাক হানাদারদের নৃশংসতাকে ও হার মানায়। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা উল্লিখিত বাড়ী ভেঙ্গেচুরেই ক্ষান্ত হয়নি। ভাংচুরের পর সেখানে স্বর্নালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন- সহ আরো অনেক মূল্যবান জিনিস লুটপাটের মহোৎসবে মেতে উঠে। প্রায় দুই তিন ঘন্টা সেখানে লুটপাট, ভাংচুর সহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, সন্ত্রাসীদের প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী এই তান্ডব লীলা ও লুটপাট অব্যাহত থাকলে ও পুলিশ প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। পুরো সময়টিতে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মোল্লা সোয়েব আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আশ্রাব্দী গ্রামের প্রবেশমুখসহ হোসেন্দী ব্রীজে অবস্থান করে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে যে, ওসি সাহেব সন্ত্রাসীদের কে নির্বিঘ্নে ধ্বংস যজ্ঞ পরিচালনার সুযোগ করে দিচ্ছেন। আমরা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রহস্যজনক এ ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাই এবং নিষ্ক্রয়তার কারন উদ্ঘাটনের জোর দাবী জানাই। পুলিশের দায়িত্ব পালনে অবহেলার বিষয়ে গজারিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোয়েব আলী জানান গত ১৮ তারিখের ঘটনার খবর পেয়ে আমরা সাথে সাথে এলাকায় অবস্থান করি এবং ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারের ভালো মন্দের খোঁজ খবর নেই।