বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে করোনা কালীন সেচ্ছাসেবীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে হেলথ কো-অর্ডিনেটরে রোকনুজ্জামান মুরাদের বিরুদ্ধে। ওই কো অর্ডিনেটর সদ্য স্ববেতনে পদন্নতি নিয়ে উলিপুর উপেজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়। তারা ওই সময় নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে সেবা দিয়েছেন আপামর জন সাধারণের। কিন্তু সেচ্ছাসেবকদের কোন রকম সম্মানী না দিয়ে আত্মসাৎ করার কথা প্রকাশ হলে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে ওইসব স্বেচ্ছাসেবক। তারা তাদের সম্মানী পাওয়ার আশায় দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র সরকারের দ্বারে ঘুরেও কোন সুরাহা পায়নি। ফলে ৪ আগস্ট/২২ তারিখে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন ওইসব সেচ্ছাসেবী। এ ব্যাপারে কয়েকজন সেচ্ছাসেবীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের সম্মানী তো দুরের কথা ইপিআই টেকনিশিয়ান মুরাদ আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। অভিযোগের ব্যাপারে ইপিআই টেকনিশিয়ান রোকনুজ্জামান মুরাদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সেচ্ছাসেবীদের টাকা প্রদান করা হয়েছে কিন্তু আমার কাছে কোনো তালিকা নেই। এ ব্যাপারে জানতে হলে টিএইচও স্যারের সাথে কথা বলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, কিছু কিছু দেয়া হয়েছে বাকীদের সমন্বয় করে দেয়া হবে।