1. meghlatv24@gmail.com : bbcpresss :
  2. jahirulislam.siraj@gmail.com : Jahirul Siraj : Jahirul Siraj
রবিবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নবীগঞ্জ গার্লস স্কুলের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য তুঙ্গে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন গাজী টায়ার্সে পরিদর্শন শেষে বুয়েট বিশেষজ্ঞ উদ্ধার কার্যক্রম চালানো বিপজ্জনক সোনারগায়ে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনির দুর্নীতির বিরুদ্ধে থানায় ও উপজেলায় অভিযোগ বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ালেন সোনারগাঁ পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক ও শিক্ষার্থীরা উপকূলীয় বন বিভাগ ও চট্টগ্রাম মৎস্য বন্দরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যম সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও হয়রানির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন  সোনারগাঁয়ে হুমায়ুন চেয়ারম্যানের মাদক স্পট ঘুরিয়ে দিলো এলাকাবাসী বন্দর গৃহবধূ সায়মা ৪ দিন ধরে নিখোঁজ রূপগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে মানববন্ধন

ইজারা ও প্রবেস মূল্য বাতিলের জোর দাবি- পতেঙ্গা সমূদ্র সৈকতে প্রবেশে টিকিটের জনমনে উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
  • সময়ঃ শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২১

মোঃ শহিদুল ইসলাম( শহিদ)ঃ নগরবাসীর একমাত্র উন্মুক্ত বিনোদনের জায়গা নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত বেসরকারি অপারেটরের হাতে দেয়ার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। পতেঙ্গা সৈকত এলাকাকে বেসরকারি অপারেটরের হাতে তুলে দিলে সৈকত এলাকার উন্নয়ন হবে, বিনোদন সুবিধা ও নিরাপত্তা বাড়বে, এমনটা মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বোর্ড মেম্বার ও স্থপতি আশিক ইমরান।

অন্যদিকে, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আকতার কবির চৌধুরী বলেছেন, নগরবাসীর একমাত্র উন্মুক্ত বিনোদনের জায়গা পতেঙ্গা সৈকত ইজারা দিলে নিম্নবিত্তের মানুষেরা বিনোদন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।
প্রসঙ্গতঃ সম্প্রতি পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে বেসরকারি খাতে ইজারা দেয়ার জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে সম্মতি পেয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
জানতে চাইলে স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, পতেঙ্গা হচ্ছে নগরীর মধ্যে উন্মুক্ত বিনোদনের একমাত্র জায়গা। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধা অর্থাৎ- টয়লেট, চেঞ্জিং রুম এবং পার্কিংয়ের জায়গা নেই।
এছাড়া, চারিদিকে প্রচুর ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। এই পতেঙ্গা বিচকে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য সিডিএ’র কোনো ফান্ড নেই। এমন কি সেখানে যে সড়কবাতি আছে, সেগুলোর বিদ্যুৎ বিল দেয়ার জন্যও সিডিএ’র কোনো ফান্ড নেই। শহরের এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছে। মানুষ এটা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারছে না।
তিনি আরো বলেন, এখন পতেঙ্গা দেশি পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকও আসছে। সবার সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সিডিএ একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পতেঙ্গার কিছু জায়গা আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র সেখানে তৈরি করবে। সেখানে প্রায় শত কোটি টাকার বিনিয়োগ তারা আশা করছে সিডিএ। যে বা যাদের কাছে এটা লিজ দেয়া হবে, তারাই এটার রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তাসহ সবকিছুর দায়িত্ব তাদের দেয়া হবে। যারা এখানে বিনিয়োগ করবে, তারা অবশ্যই লাভের আশায় বিনিয়োগ করবে। লাভের একটি অংশও সিডিএ পাবে। প্রকল্পটি মূল সমুদ্র সৈকত অংশে হবে না। আর এটার জন্য যে সমুদ্র সৈকত বন্ধ করে দেয়া হবে, বিষয়টি এরকম না। আউটার রিং রোড অংশ এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এক কিলোমিটারের মত অংশ জায়গায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
অন্যদিকে, ভিন্নমত পোষণ করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাঃসম্পাদক এডভোকেট আকতার কবির চৌধুরী বলেন, সরকারি জায়গা সিডিএ চাইলেই বেসরকারি অপারেটরের হাতে তুলে দিতে পারে না।
পুরো পতেঙ্গা এলাকা সিডিএ’র সম্পত্তি না। পতেঙ্গা হচ্ছে নগরবাসীর একমাত্র উন্মুক্ত বিনোদনের জায়গা। নগরবাসী স্বস্তির আশায় দূর-দূরান্ত থেকে সপ্তাহে ছুটির দিন কিংবা যে কোন উৎসব পাবনের সময়ে বা সরকারী বন্ধ দিবসে ছুটে আসে পতেঙ্গা বিচে । সিডিএ’র এমন সিদ্ধান্ত দ্রুত বাতিল করার দাবি জানান তিনি।
এদিকে এই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ ও উদ্বেগ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ। পরিষরে স্থায়ী কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী,কায্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ডাঃ শেখ শফিউল আজম, মহাসচিব- এইচ.এম মুজিবুল হক গণ মাধ্যম কে দেওয়া বিবৃতিতে বলেন,দেশের বৃহত্তম বন্দরনগরী হওয়া সত্ত্বেও এখানে বিনোদনের জন্য উল্লেখ্য যোগ্য কোন জায়গা নেই। কতিপয় স্থানে ব্যক্তিমালিকানায় সামন্যে সৌন্দর্যো বাড়িয়ে মাত্রাত্রিরক্ত ফি বাড়িয়ে দর্শানাথীদের মনকে বিষিয়ে তুলার কোন কারণেই মেনে নেওয়া যাই না।এসব ব্যক্তিমালিকানায় সৌন্দর্যের করণে অব্যবস্থাপনায় কোন জৌলস নেই বল্লেও চলে। চট্টগ্রামে উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান কিছুটা দৃশ্যপট হলে বিনোদন পিপাষুরা পর্যযটন স্থানে ছুটে যাই। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সহিত উন্মুক্ত বিনোদন স্পটে ফি নির্ধারণ করলে সাংস্কৃতি-সাহিত্য ওবিনোদন পিপাষুরা চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।আর কমে আসবে সাধারণ বিনোদন পিয়াষুরা।
অপর দিকে এই ফি ও ইজারা দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় ক্ষুদ্র দোকানী,ভাসমান ব্যবসায়ীরা। তারা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বিচের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানের পূর্ননবান না করে আবার পতেঙ্গা বিচ এলাকা কে ইজারা বা প্রবেশে গেট ফি নির্ধারণ করলে ক্ষুদ্র দোকানীরা চরম ভাবে আর্থিক কষ্টে পড়বেন। বিচ দোকান মালিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পূর্ননবান বাস্তায়ন কমিটির আহবায়ক মোঃ ওয়াহিদুল আলম মাস্টার বলেন,সরকারের মন্ত্রনালয় থেকে পতেঙ্গা সিবিচ কে ইজারা দেওয়া সিদ্ধান্ত বেআইনী-অমানিবক।আমরা সমিতির সদস্যরা এই বে-আইনী, এক তরফা ওঅমানবিক সিদ্ধান্ত কোন ভাবে মেনে নিতে পারি না। তিনি আরো বলেন, এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা জবীন-সংগ্রাম করে, প্রকৃতির সাথে লড়াই পতেঙ্গা সিবিচ কে সৌন্দয্য মন্ডিত করতে সহায়তা করার পরে কোন এক অদৃশ্য কালো তাবায় তা উচ্ছেদ হোক কেউ কি তা মানতে পারবে…?
স্থানীয় একটি প্রাথঃ স্কুল মিলনায়তনে প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পূর্ননবান বাস্তায়ন কমিটির সদস্যসচিব মোঃ মাইনুল ইসলাম,মোঃ জামাল উদ্দিন, মোঃ হোসেন, তাজ উদ্দিন,ইলিয়াছ, শেখ আহম্মদ,জাহাঙ্হীর আলম সহ আরো অনেক গুনি জন উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এইরকম আরো খবর
September 2024
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© ২০২১ | বিবিসি প্রেস © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | bbcpress.com